যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিমালার জেরে বিশ্বজুড়ে গাড়ির দাম বাড়তে পারে। সাবেক ফোর্ড সিইও মার্ক ফিল্ডস মনে করেন, শুল্কের কারণে গাড়ির দাম বাড়বেই, এটা কেবল গণিতের হিসাব।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে গাড়ির বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও পড়তে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে গাড়ির দাম বাড়বে, কারণ এতে করে যন্ত্রাংশ এবং গাড়ির দাম বাড়বে। এই শুল্কের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হওয়া গাড়ির দামও বাড়বে, কারণ সেগুলোতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ আসে বিদেশ থেকে।
ব্যাংক অফ আমেরিকার হিসাব অনুযায়ী, যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গাড়ির দাম গড়ে প্রায় ৩,২৮৫ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্তুতকারকরা হয়তো এই শুল্কের কিছু অংশ নিজেদের বহন করতে পারে, তবে বেশিরভাগটাই ক্রেতাদের ওপর চাপানো হবে, যা গাড়ির দাম আরও বাড়িয়ে দেবে। এমনিতেই গাড়ির দাম এখন অতীতের যেকোনো সময়ের কাছাকাছি, তাই দাম বাড়লে বিক্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্যাংক অফ আমেরিকার বিশ্লেষকদের মতে, দাম বাড়লে গাড়ির চাহিদা কমবে, বিশেষ করে যাদের গাড়ি কেনার সামর্থ্য কম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে এর ফলে কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান কমতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, শুল্কের কারণে গাড়ির চাহিদা কমলে, কারখানায় উৎপাদনও কমে যেতে পারে।
ফোর্ড কোম্পানি অবশ্য একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা এপ্রিলের ৩ তারিখ থেকে ২রা জুন পর্যন্ত তাদের গাড়ির ওপর বিশেষ অফার ঘোষণা করেছে, যেখানে কর্মীদের জন্য নির্ধারিত মূল্যে গাড়ি কেনার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
তবে, নতুন কারখানা তৈরি করা সহজ নয়। কারখানা তৈরি করতে অনেক সময় লাগে এবং এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন। তাছাড়া, শ্রমিকের অভাবও একটি বড় সমস্যা।
সাবেক ফোর্ড সিইও মার্ক ফিল্ডস জানিয়েছেন, শ্রমিক খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল, এমনকি মন্দা কাটিয়ে ওঠার সময়েও।
এই পরিস্থিতিতে, চীনা প্রস্তুতকারকদের সুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা পশ্চিমা গাড়ি প্রস্তুতকারকদের থেকে এগিয়ে যেতে পারে, কারণ তারা এই শুল্কের প্রভাব থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে উদ্ভাবন ধরে রাখতে পারবে।
এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের বাজারে গাড়ির দামের ওপর কী প্রভাব পড়বে, তা এখনই বলা কঠিন। তবে বিশ্ব বাজারের এই পরিবর্তনের দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন