আলো ঝলমলে প্যারিসে কেমন কাটছে ম্যারি ইয়ার্পসের জীবন?

ইংল্যান্ড মহিলা ফুটবল দলের গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পস বর্তমানে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)-তে খেলছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ফ্রান্সের রাজধানীতে কাটানো জীবন তার জন্য কেমন ছিল।

ফুটবল বিশ্বে পরিচিতি পাওয়ার পর জীবনের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে চেয়েছিলেন ইয়ার্পস। সেই কারণেই পিএসজিতে যোগ দেওয়া।

প্যারিসে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে ইয়ার্পস বলেন, গত কয়েক বছরে তার জীবনে অনেক কিছু ঘটেছে। তিনি দ্রুত পরিচিতি লাভ করেছেন এবং অনেক সুযোগও পেয়েছেন।

তবে এর সঙ্গে ছিল প্রচুর ব্যস্ততা। তাই তিনি নিজের খেলার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে চেয়েছিলেন। ফুটবলার হিসেবে নিজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেন।

ইয়ার্পস মনে করেন, পিএসজিতে খেলার সুবাদে তিনি একজন ভালো খেলোয়াড় হয়ে উঠছেন। ফরাসি লিগে খেলার মান অনেক উন্নত।

এখানে খেলার ধরনও ভিন্ন। এখানকার খেলোয়াড়রা খুবই কারিগরি এবং দ্রুত গতির ফুটবল খেলে। তাই তাকে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়।

ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসন্ন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জাতীয় দলে খেলার জন্য চেলসির গোলরক্ষক হানাহ হাম্পটনের সঙ্গে তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।

তবে এই প্রতিযোগিতা তাকে আরও শক্তিশালী গোলরক্ষক হিসেবে গড়ে তুলছে।

মেরি ইয়ার্পস এর আগে জার্মান ক্লাব ভলফসবুর্গে খেলেছেন। ২০১৮-১৯ মৌসুমে তিনি সেখানে ছিলেন।

এরপর তিনি ইংল্যান্ডকে ২০২২ সালের ইউরো জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ফিফা তাকে পরপর দুবার সেরা মহিলা গোলরক্ষকের পুরস্কার দিয়েছে।

বর্তমানে পিএসজির হয়ে তিনি ১৯টি লিগ ম্যাচের মধ্যে ১৭টিতেই প্রথম একাদশে ছিলেন। এই সময়ে তিনি ৭টি ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি এবং মাত্র ১২টি গোল হজম করেছেন।

আর্টের এই শহরে (প্যারিস) তিনি স্থাপত্যের প্রেমে পড়ে গেছেন। তবে সম্প্রতি তিনি আবার ইংল্যান্ডে ফিরে এসেছেন। সেখানে তিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আগামী শুক্রবার ব্রিস্টলে বেলজিয়ামের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড।

মেরি ইয়ার্পস বলেন, ব্রিস্টলে ফিরতে তার ভালো লাগে। আসন্ন ইউরোর জন্য তিনি মুখিয়ে আছেন।

মেরি ইয়ার্পস একজন অভিজ্ঞ এবং প্রতিভাবান ফুটবলার। তার এই সাফল্যের পেছনে কঠোর পরিশ্রম এবং একাগ্রতা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *