জাম্বিয়ার নারী ফুটবল দল: ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্র-প্রবাসী খেলোয়াড়দের বাদ।
জাম্বিয়ার নারী ফুটবল দল আসন্ন কয়েকটি ম্যাচের জন্য তাদের যুক্তরাষ্ট্র-প্রবাসী চারজন খেলোয়াড়কে দল থেকে সরিয়ে নিয়েছে। জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে উদ্বেগের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। খেলোয়াড়দের পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে সমস্যা হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে যারা বাদ পড়েছেন, তারা হলেন বারব্রা বান্ডা, প্রিসকা চিলুফিয়া, গ্রেস চান্দা এবং র্যাচেল কুন্দানানজি। এদের মধ্যে বারব্রা বান্ডা জাম্বিয়া দলের অধিনায়ক। দলগুলো তাদের খেলোয়াড়দের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবহিত করেছে।
জাম্বিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএজেড) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের ভ্রমণ সংক্রান্ত কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত জাম্বিয়ান মিশন এবং খেলোয়াড়দের ক্লাবগুলোর পরামর্শ মেনেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এফএজেড-এর সাধারণ সম্পাদক রিউবেন কাামাঙ্গা জানান, খেলোয়াড়দের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এই মুহূর্তে তাদের খেলা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে তারা দলের হয়ে খেলতে পারবে।
জানা গেছে, জাম্বিয়া দল এই সপ্তাহে চীন, থাইল্যান্ড এবং উজবেকিস্তানের সঙ্গে খেলার কথা রয়েছে। কিন্তু খেলোয়াড়দের ভিসা এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনাটি ক্রীড়া জগতে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা এবং অভিবাসন সংক্রান্ত জটিলতা প্রায়ই দেখা যায়। এক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সেই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
যদি বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় বা দল একই পরিস্থিতিতে পড়ত, তবে তাদেরও এমন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হতো। উদাহরণস্বরূপ, যদি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার বা ফুটবলার যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্লাবে খেলে থাকেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কারণে তাদের ভিসা নিয়ে জটিলতা তৈরি হতো, তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলা তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াত। খেলার মাঠে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হতে পারতেন।
তথ্য সূত্র: The Guardian