নতুন গেমিং জগৎ: ২০২৩ সালের প্রত্যাশিত নিনটেন্ডো সুইচ ২ নিয়ে আলোচনা
নিনটেন্ডো, গেমিং দুনিয়ায় এক পরিচিত নাম, তাদের নতুন গেমিং কনসোল ‘সুইচ ২’ নিয়ে আসছে, যা সম্ভবত ২০২৫ সালে বাজারে পাওয়া যাবে। সম্প্রতি প্যারিসের গ্র্যান্ড প্যালেইস-এ একটি প্রেস ইভেন্টে কনসোলটির পরীক্ষা করা হয়, যেখানে এর ডিজাইন, নতুন গেম এবং আগের সংস্করণের থেকে এর উন্নতিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়।
এই কনসোলটি বর্তমান নিনটেন্ডো সুইচ-এর উত্তরসূরি হিসাবে তৈরি হয়েছে, যা ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সুইচ ২-এর প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে একটি হল ‘মারিও কার্ট ওয়ার্ল্ড’ গেমটির নতুন ‘নকআউট ট্যুর’ মোড। এখানে পুরনো পদ্ধতির তিনটি ল্যাপের পরিবর্তে বিশাল একটি বিশ্ব মানচিত্র জুড়ে দৌড় প্রতিযোগিতা থাকবে।
গেমটিতে ২৪ জন প্রতিযোগী অংশ নিতে পারবে, যা আগের সংস্করণের চেয়ে দ্বিগুণ। গেমের শুরুতে রেসারেরা একটি বিশাল মানচিত্রের উপর দিয়ে দৌড়াবে এবং নির্দিষ্ট স্থানে আসার পর পেছনের প্রতিযোগীরা বাদ পড়তে থাকবে।
ফাইনাল রাউন্ডে শেষ চারজন তাদের স্থান ধরে রাখার জন্য লড়বে। গেমটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং যারা মারিও কার্ট খেলতে ভালোবাসে, তাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে।
এছাড়াও, পুরনো ধাঁচের মারিও কার্ট খেলারও সুযোগ থাকছে, যেখানে সবাই রেস শেষ করতে পারবে। নতুন সংস্করণে কিছু নতুন অস্ত্র এবং উন্নত গ্রাফিক্স যুক্ত করা হয়েছে।
‘সুপার মারিও পার্টি জ্যাম্বোরি’ গেমটিতে ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের গেমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘গুম্বাবালান্সিং’ নামক একটি মিনি গেমে, খেলোয়াড়দের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে গোম্বাদের ধরতে হবে এবং তাদের মাথার উপর ব্যালেন্স করতে হবে।
নিনটেন্ডো তাদের নতুন কনসোলের জন্য মাইক্রোফোন তৈরি করেছে, যা বাইরের শব্দ কমাতে সাহায্য করবে।
তবে, হাততালি বা হাসির শব্দ গেমে শোনা যাবে, যা খেলার অভিজ্ঞতাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে। স্থানীয় মাল্টিপ্লেয়ার গেমিংয়ের ধারণাটিকে ধরে রাখতে নিনটেন্ডো চেষ্টা করছে, যেখানে বন্ধুরা ক্যামেরার মাধ্যমে একে অপরের সাথে গেমে অংশ নিতে পারবে।
সুইচ ২-এর কন্ট্রোলারগুলোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। জয়-কনগুলি আগের চেয়ে টেকসই এবং আরামদায়ক করা হয়েছে, সেইসাথে বাটনগুলোও বড় করা হয়েছে।
পুরনো প্রজন্মের জয়-কন এবং প্রো কন্ট্রোলারগুলিও নতুন কনসোলের সাথে ব্যবহার করা যাবে।
পরীক্ষামূলক গেমিং সেশনে ‘সাইবারপাঙ্ক’ গেমের লোডিং স্ক্রিনটি ৫-১০ সেকেন্ডের জন্য দেখা গিয়েছিল, যা কনসোলের উন্নত কর্মক্ষমতার প্রমাণ দেয়। ‘লেজেন্ড অফ জেল্ডা: ব্রেথ অফ দ্য ওয়াইল্ড’ গেমটিও কোনো ফ্রেম ড্রপ ছাড়াই খেলা গেছে।
নিনটেন্ডো সুইচ ২-এর ডিজাইন আগের মডেলের চেয়ে সামান্য বড় এবং এটি দেখতে আরও আকর্ষণীয়। উন্নত স্ক্রিন এবং মসৃণ ডিজাইন এটিকে আরও আধুনিক করে তুলেছে।
নিনটেন্ডোর জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল তাদের বর্তমান ব্যবহারকারীদের (যারা প্রায় ১৫ কোটি) নতুন এই কনসোলটি গ্রহণ করতে উৎসাহিত করা।
কারণ, তারা সম্ভবত তাদের পুরনো কনসোলটি ব্যবহার করতে অভ্যস্ত।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান