গাজায় ইসরায়েলের আঘাত: শরণার্থী শিবিরে শোকের ছায়া, বাড়ছে মৃতের মিছিল

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বাস্তু শিবিরেও আঘাত।

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, যার মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষ। গভীর রাতে চালানো হামলায় একটি পরিবারের ছয় জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, খান ইউনিসের শরণার্থী শিবিরগুলোতেও বোমা বর্ষণ করা হয়েছে, যেগুলোকে ইসরায়েল ‘মানবিক করিডোর’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া, উদ্ধারকর্মীরা আগের হামলায় নিহত আরও তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০,৪২৩ জনে। শুধু ১৮ মার্চ থেকে বড় ধরনের হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১,১৬৩ জন।

এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র অবিচায় আদ্রায়ে এক বিবৃতিতে শুজাইয়া এলাকা এবং আল-জাদিদা, আল-তুর্কমান, তাসবিহ ও পূর্ব জেইতুনের বাসিন্দাদের তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় বলেন, “আপনাদের এলাকায় সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করতে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক শক্তি নিয়ে কাজ করছে। আপনারা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করুন এবং পশ্চিম গাজা সিটিতে আশ্রয় নিন।”

তবে সাধারণ মানুষের জন্য ‘নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিত জায়গাগুলো নিয়েও রয়েছে সংশয়।

অতীতেও দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী যাদের নিরাপদ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেসব স্থানেই তারা হামলা চালিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এর আগে জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *