আতঙ্কে দেশ! ভয়াবহ হামলায় মানুষের মৃত্যু, ভালুক নিধনের ঘোষণা!

স্লোভাকিয়ায় একটি মারাত্মক হামলার পর কর্তৃপক্ষ ৩০০-এর বেশি ভালুক নিধনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। দেশটির সরকার বন্যপ্রাণী ও মানুষের মধ্যে সংঘাত কমাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে, যেখানে পরিবেশবাদীরা এর বিরোধিতা করছেন।

সম্প্রতি দেশটির মধ্যাঞ্চলে ৫৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায়, যিনি সম্ভবত ভালুকের আক্রমণে নিহত হয়েছেন। এরপরই সরকার জরুরি অবস্থার ঘোষণা করে এবং ভালুক নিধনের সিদ্ধান্ত নেয়।

দেশটির পরিবেশমন্ত্রী টমাস তারাবা জানান, গত বছর ভালুকের আক্রমণের ঘটনা বেড়ে ১,৯০০-তে পৌঁছেছিল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো বলেছেন, “আমরা এমন একটি দেশে বাস করতে পারি না যেখানে মানুষ বনে যেতে ভয় পায়।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের ৭২টি জেলার মধ্যে ৫৫টিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে পরিবেশ মন্ত্রণালয় সরাসরি ভালুক নিধনের অনুমতি দিতে পারবে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, স্লোভাকিয়ার বন্য ভালুকের সংখ্যা ১ হাজারের বেশি। তবে, পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে।

তাদের মতে, এই পদক্ষেপ দেশের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করে এবং প্রতিরোধের অন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তারা আরও বলছেন যে বন্য ভালুক নিধন বাস্তুতন্ত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এর আগে, ২০২৪ সালে মন্ত্রণালয় ১৪৪টি ভালুক হত্যার অনুমতি দিয়েছিল। প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়াও গত বছর একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল।

পরিবেশবিদরা বলছেন, বন্য ভালুকের সংখ্যা এভাবে কমানো হলে তাদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং খাদ্য শৃঙ্খলে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বন্যপ্রাণী ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা বন ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *