হেইডি ক্লুম: ভ্রমণের গোপন জিনিস ফাঁস, যা সবসময় সঙ্গে রাখেন!

জার্মান সুন্দরী হাইডি ক্লুম, যিনি শুধু একজন মডেল হিসাবেই পরিচিত নন, বরং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং সফল একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছেন। জার্মানির বার্গিশ গ্লাডবাখ শহরে জন্ম হলেও, হাইডি এখন নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা।

ফ্যাশন জগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র বিগত ৩০ বছর ধরে নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন এবং এই শহরটিকে ভালোবেসে ফেলেছেন।

নব্বইয়ের দশকে জার্মানির একটি মডেলিং প্রতিযোগিতায় জয়লাভের মাধ্যমে হাইডির কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর তিনি নিউ ইয়র্কের ‘মেট্রোপলিটন মডেলস’-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।

ধীরে ধীরে মডেলিং জগতে নিজের স্থান তৈরি করে, ‘স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড সুইমস্যুট’ ম্যাগাজিনের কভার এবং ‘ভিক্টোরিয়াস সিক্রেট অ্যাঞ্জেল’-এর মতো খ্যাতনামা অনুষ্ঠানে কাজ করেছেন তিনি।

তবে, তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো ‘প্রজেক্ট রানওয়ে’ নামক টেলিভিশন শো। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এই শো’টির উপস্থাপক, প্রযোজক এবং বিচারক হিসেবে কাজ করছেন।

এই অনুষ্ঠানটি এমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে এবং বর্তমানে এর ২১তম সিজন চলছে।

নিউ ইয়র্কের প্রতি হাইডির ভালোবাসা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই শহরটি যেন তার হৃদয়ের অংশ।

কাজের বাইরেও তিনি নিউ ইয়র্কের জীবনকে উপভোগ করেন।

প্রতি বছর হাইডি ক্লুমের হ্যালোইন পার্টি বেশ জাঁকজমকের সাথে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বহু সেলিব্রিটিদের আনাগোনা দেখা যায়।

এই পার্টিগুলো নিউ ইয়র্কের সংস্কৃতিতে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।

হাইডি ক্লুম শুধু ফ্যাশন জগতের সঙ্গেই জড়িত নন, তিনি একজন সফল ব্যবসায়ীও।

সম্প্রতি তিনি প্রাক্তন স্বামী ফ্ল্যাভিও বোরিয়াটোর সাথে মিলে নিউ ইয়র্কের সোহো-তে ‘ক্রেজি পিৎজা’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালু করেছেন।

এই রেস্তোরাঁটি ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

ইতালীয় খাবারের প্রতি হাইডির বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে।

তিনি প্রায়ই এখানকার ‘বার পিটি’ রেস্টুরেন্টে যান, যা সোহোর অন্যতম জনপ্রিয় একটি স্থান।

কাজের বাইরে হাইডি তার পরিবারকে সময় দিতে ভালোবাসেন।

স্বামী টম কাইলিটস এবং সন্তানদের সাথে তিনি নিউ ইয়র্কে তাদের বাড়িতে সময় কাটান।

তার বড় মেয়ে লেনিও নিউ ইয়র্কে থাকে।

ক্লুম মনে করেন, পরিবারের সাথে কাটানো সময় তাকে নতুন করে বাঁচতে সাহায্য করে।

ভ্রমণের সময় হাইডি তার কিছু ব্যক্তিগত জিনিস সঙ্গে নিতে পছন্দ করেন।

তার মতে, ভ্রমণের সময় অবশ্যই একটি ‘পশেএরা’ শেভার এবং ‘লরিয়েল রিভাইটালিফ্ট ময়েশ্চারাইজার’ সাথে রাখা উচিত।

জেট ল্যাগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন এবং গন্তব্যে পৌঁছে গোসল করেন।

হাইডির এই জীবনযাত্রা, কর্মজীবনের প্রতি তার ডেডিকেশন এবং পরিবারের প্রতি ভালোবাসাই তাকে সবার থেকে আলাদা করে তোলে।

তথ্যসূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *