ইয়োলোস্টোনে: রাস্তার পাশে নতুন গিজার, এখনই দেখুন!

ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে নতুন একটি উষ্ণ প্রস্রবণ!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক, যা বিশ্বের প্রথম জাতীয় উদ্যান হিসেবে পরিচিত, সেখানে সম্প্রতি একটি নতুন উষ্ণ প্রস্রবণ আবিষ্কৃত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি নজরে আসে, যা পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণ হতে পারে।

পার্কটি আগ্নেয়গিরি অঞ্চলের উপর অবস্থিত হওয়ায় এখানে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটে চলেছে। এই কারণে, প্রায়ই নতুন উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম ঝর্ণা দেখা যায়, যা পার্কের প্রায় ৩,৫০০ বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত।

নতুন আবিষ্কৃত এই উষ্ণ প্রস্রবণটি পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রাস্তা থেকেই দেখা যায়।

এই নতুন উষ্ণ প্রস্রবণটি ম্যামথ হট স্প্রিংস এলাকার কাছে, নিম্ফ লেকের কাছাকাছি অবস্থিত। এটি নরিস গেইজার বেসিন থেকে প্রায় এক মাইল উত্তরে, একটি লাভা প্রবাহ এবং একটি জলাভূমির মাঝে অবস্থিত।

ম্যামথ হট স্প্রিংস এবং নরিস জংশনের মধ্যেকার রাস্তা দিয়ে ভ্রমণ করার সময় এটি চোখে পড়বে। জায়গাটিতে গাড়ি থামানোরও ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে পর্যটকরা এর দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এর তত্ত্বাবধানে থাকা ইয়েলোস্টোন আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে জানা যায়, বিজ্ঞানীরা ২০২৩ সালের শেষের দিকে একটি বনভূমি অঞ্চলের পাদদেশ থেকে বাষ্প নির্গত হতে দেখেন।

পরীক্ষা করে দেখা যায়, এটি একটি নতুন উষ্ণ প্রস্রবণ, যার তাপমাত্রা প্রায় ১৭২ ফারেনহাইট (প্রায় ৭৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।

গবেষকরা জানিয়েছেন, উষ্ণ প্রস্রবণটি গ্রীষ্ম এবং শরৎকালে সক্রিয় ছিল, তবে শীতকালে এর বাষ্প নির্গমনের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। যদিও এটি এখনো সক্রিয় রয়েছে, তবে ভবিষ্যতে এর সক্রিয়তা কেমন থাকবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে ১০,০০০ এর বেশি জল-তাপীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে ৫০০টির বেশি গেইজার বা উষ্ণ প্রস্রবণ বিদ্যমান, যা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি।

এখানকার সবচেয়ে বিখ্যাত উষ্ণ প্রস্রবণ ‘ওল্ড ফেইথফুল’, যা গড়ে প্রতি ৯২ মিনিট অন্তর অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *