মাইক পেন্স: কেন সাহসীকতার পুরস্কার পাচ্ছেন?

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ‘প্রোফাইল ইন কারেজ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হচ্ছে। জন এফ কেনেডি লাইব্রেরি ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেয়।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় নিজের জীবন ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ঝুঁকি নিয়ে ‘সাহসী’ ভূমিকা পালনের জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

ফাউন্ডেশন জানায়, তাদের মতে, “রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে হামলার সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর হতে পারে না।”

ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, “সংবিধানের প্রতি আনুগত্য রেখে এবং নিজের বিবেক অনুযায়ী কাজ করে ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স নিজের জীবন, ক্যারিয়ার এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছিলেন।”

১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পুরস্কারটি এমন সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া হয় যারা ব্যক্তিগত বা পেশাগত বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে বিবেকসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করে সাবেক রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স গভীর সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির জীবন ও আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি। অতীতে এই পুরস্কার পাওয়া খ্যাতিমান আমেরিকানদের সঙ্গে নিজের নাম যুক্ত করতে পেরে আমি সম্মানিত।”

২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় হয়। ফল ঘোষণার সময় পেন্সের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আনুষ্ঠানিকতা অনুযায়ী, কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নির্বাচনের ফল ঘোষণার কথা ছিল, যেখানে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেন্সের সভাপতিত্ব করার কথা ছিল।

ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নির্বাচনের ফল পাল্টানোর জন্য চাপ থাকলেও পেন্স তা প্রত্যাখ্যান করেন।

পরে পেন্স বলেছিলেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের ‘বিবেচনাহীন’ কথায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে হামলা হয়, যা তার পরিবার এবং সেখানে উপস্থিত অন্যদের জন্য ‘বিপদ’ ডেকে এনেছিল।

তিনি ২০২৪ সালের রিপাবলিকান প্রাইমারিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৬ জানুয়ারির ঘটনার সময় তার নেওয়া পদক্ষেপের পক্ষে সমর্থন জানান।

অতীতে এই পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে ছিলেন লিজ চেনি, মিশিগানের ডেমোক্রেট সেক্রেটারি অফ স্টেট জসলিন বেনসন, অ্যারিজোনার সাবেক রিপাবলিকান স্পিকার রুস্টি বাওয়ার্স এবং ফাল্টন কাউন্টির নির্বাচন কর্মী ওয়ান্ড্রেয়া ‘শায়ে’ মসের মতো ব্যক্তিরা, যারা নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *