বিধ্বংসী টর্নেডোর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা!

যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা শক্তিশালী টর্নেডোর কারণে সেখানকার উদ্ধারকর্মী ও আবহাওয়াবিদদেরও জীবন বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হয়। বুধবার রাতের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ছয়টি রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে জরুরি বিভাগের কর্মীদের ওপরও।

জীবন বাজি রেখে তাঁরা যেমন সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন, তেমনই নিজেদেরও রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন।

মিসৌরির কেপ গিরারডোতে একটি টেলিভিশনের আবহাওয়াবিদ গ্র্যান্ট ডেড টর্নেডোর সময় লাইভ সম্প্রচার চালিয়ে যান। ঝড়ের তাণ্ডবে যখন তাঁর নিজের বাড়ির দিকেও ঝুঁকি ছিল, তখনও তিনি দর্শকদের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছিলেন।

কর্মকর্তাদের আশ্রয় নেওয়ার সময়ও তিনি নিয়মিতভাবে রাডার পর্যবেক্ষণ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাচ্ছিলেন।

আবহাওয়াবিদ ডেড জানান, টর্নেডো তাঁর স্টেশনের ওপর দিয়ে বয়ে যায়, যা ছিল খুবই উদ্বেগের। ঝড় চলে যাওয়ার পর তিনি যখন ক্যামেরার সামনে ফেরেন, তখন তাঁর পরিবার কেমন আছে, তা জানতে টেক্সট করেন।

পরিবার সুরক্ষিত আছে জানার পরেই তিনি আবার সম্প্রচার শুরু করেন এবং দর্শকদের আবহাওয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে থাকেন।

এদিকে, কেনটাকি প্রদেশের প্যাডুকার ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের (NWS) কর্মীরাও ঝড়ের সময় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এমনকি, অফিসের কর্মীদের জীবন বাঁচানোর জন্য সতর্কতা জারি করতে হয়।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অফিসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলেও, কর্মকর্তারা জীবন রক্ষাকারী তথ্য সরবরাহ করা বন্ধ করেননি।

অন্যদিকে, টেনেসির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুখপাত্র জেসন প্যাকও ঝড়ের সময় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানকার একটি হোটেলে আশ্রয় নেওয়ার সময় তিনি ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় জানান, তাঁরাও দুর্যোগ থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বুঝিয়ে দেয় যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি কতটা জরুরি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া থেকে শুরু করে উদ্ধারকাজ—সব ক্ষেত্রেই কর্মীদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে।

এই ঘটনাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেড়ে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণ করে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *