গোপন চ্যাট: হেগসেথের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু!

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান, পিটার হেজসেথের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি একটি এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ, সিগন্যালের মাধ্যমে, ইয়েমেনে সামরিক অভিযান সংক্রান্ত অতি-গোপনীয় তথ্য আদান-প্রদান করেছেন।

পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই তদন্তের মূল উদ্দেশ্য হলো, সরকারি কাজের জন্য হেজসেথ এবং অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তাদের বাণিজ্যিক মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা বিভাগের নীতিগুলো মানা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা।

জানা গেছে, এই ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন জানা যায়, হেজসেথ একটি সিগন্যাল গ্রুপে সংবেদনশীল সামরিক তথ্য আদান-প্রদান করেছেন। এই গ্রুপে একজন সাংবাদিকও ছিলেন।

সেনেটের সশস্ত্র পরিষেবা বিষয়ক কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। কমিটির রিপাবলিকান চেয়ার, রজার উইকার এবং ডেমোক্রেট সদস্য জ্যাক রিড এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।

কারণ, এর ফলে সামরিক গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে এবং অনুমোদনহীন ব্যক্তিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৌঁছেছে।

তদন্তকারীরা বিশেষভাবে বিবেচনা করবেন, তথ্যের শ্রেণীবিন্যাস এবং সংরক্ষণের নিয়মগুলি এক্ষেত্রে মানা হয়েছে কিনা। এছাড়া, মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট সময় পর মুছে যাওয়ার যে ব্যবস্থা (টাইমার) ছিল, তা নিয়মানুযায়ী কাজ করেছে কিনা, সেটিও দেখা হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, পেন্টাগন। এই পেন্টাগনের প্রধান হলেন প্রতিরক্ষা সচিব, পিটার হেজসেথ।

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে, তা দেশের নিরাপত্তা এবং সামরিক কৌশলের ক্ষেত্রে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, এর মাধ্যমে দেশের গোপন সামরিক তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভবিষ্যতে সামরিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। তথ্য সুরক্ষার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাও বাড়বে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *