বিখ্যাত ব্রিটিশ কমেডিয়ান মো গিলিগানের নতুন স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া এই সফরে হাস্যরসের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তিনি, যেখানে সম্পর্কের জটিলতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা—সবকিছুই মজাদার ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
গিলিগান মূলত তাঁর সহজ-সরল, সবার সঙ্গে মিশে যাওয়ার মতো হাস্যরসের জন্য পরিচিত। তাঁর নতুন শো-এর কেন্দ্রে রয়েছে হলিউডের ঝলমলে জগতে কাটানো একটি রাতের গল্প। লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাওয়া—এই অভিজ্ঞতাই তিনি তুলে ধরেছেন। তবে সমালোচকদের মতে, গল্পের দীর্ঘতা কিছুটা বেশি ছিল এবং এতে বৈচিত্র্যের অভাব ছিল।
অনুষ্ঠানে গিলিগান নারী-পুরুষের সম্পর্ক, তাদের রুচি, ভালো লাগা, এবং দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। “পুরুষরা ক্ষমা চাইতে ভালো পারে না,” অথবা “মহিলারা জানে রিমোট কন্ট্রোল কোথায়”—এ ধরনের সাধারণ পর্যবেক্ষণগুলো দর্শকদের হাসির খোরাক জুগিয়েছে। গিলিগানের হাস্যরসের ধরন এতটাই স্বাভাবিক যে, তাঁর কথা বলার ভঙ্গি সহজেই দর্শকদের আকৃষ্ট করে।
কমেডি শো-টিতে গিলিগানের বন্ধুদের হাস্যকর কার্যকলাপও তুলে ধরা হয়েছে, যেমন—পান বিল মেটানোর সময় “আর্কিটেক্ট” সেজে ওঠা, কিংবা “পরের পর্ব” দেখার জন্য সঙ্গীর পাশে ঘুমিয়ে থাকা সত্ত্বেও টিভির পর্দায় চোখ রাখা। যদিও সমালোচকদের কেউ কেউ মনে করেন, শো-এর প্রধান আকর্ষণ, অর্থাৎ হলিউডের গল্পটি, চূড়ান্ত পরিণতিতে পৌঁছায়নি, তবে গিলিগান যে তাঁর স্বকীয়তা ধরে রেখেছেন, তা স্পষ্ট।
মো গিলিগানের এই শো-টি পারফেক্ট না হলেও, তাঁর জনপ্রিয়তার মূল কারণ—সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা—যেন আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর কমেডি দর্শকদের কাছে এতটাই পরিচিত ও কাছের, যেন তারা নিজেরাই নিজেদের গল্প শুনছে।
বর্তমানে, সারা বিশ্বেই স্ট্যান্ড-আপ কমেডির চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো নিয়ে হাস্যরস তৈরি হওয়ায়, এই ধরনের কমেডি মানুষের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। মো গিলিগানের এই শো সেই ধারারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান