টটেনহ্যাম হটস্পারের পরাজয়, ভিএআরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক, ম্যানেজার অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলুর প্রতিক্রিয়া।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (English Premier League) টটেনহ্যাম হটস্পারকে ১-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। খেলার ফলাফল ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন টটেনহ্যামের ম্যানেজার অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলু।
খেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ভিএআরের (VAR – Video Assistant Referee) হস্তক্ষেপে বাতিল হয় টটেনহ্যামের একটি গোল, আর এর পরেই ঘটে ঘটনার সূত্রপাত।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা পাপে সার (Pape Sarr) দূর থেকে নেওয়া শটে গোল করলে টটেনহ্যামের সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। কিন্তু ভিএআর-এর দীর্ঘ পর্যালোচনার পর, সার-এর ফাউলের কারণে গোলটি বাতিল করা হয়।
রেফারি মোইসেস কাইসেদোর (Moisés Caicedo) পায়ে ফাউলের অভিযোগে সারকে হলুদ কার্ডও দেখান।
গোল বাতিল হওয়ার পর, ম্যানেজার অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলু টটেনহ্যাম সমর্থকদের দিকে ফিরে কানের কাছে হাত নিয়ে আসেন। অনেকে মনে করেন, এটি ছিল সমর্থকদের প্রতি এক ধরনের ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গি।
তবে পোস্টেকোগলু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, “আমরা সবেমাত্র গোল করেছিলাম, আমি চেয়েছিলাম সমর্থকেরা উল্লাস করুক। কারণ আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম এবং আমি মনে করি গোলটি দারুণ ছিল। আমি চেয়েছিলাম তারা উত্তেজিত হোক।
পোস্টেকোগলু আরও বলেন, “সমর্থকরা আমার পরিবর্তন বা সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতেই পারে, এটা তাদের অধিকার। কিন্তু আমরা যখন গোল করলাম, আমি চেয়েছিলাম তারা আনন্দ করুক।
তিনি স্বীকার করেন, এই ধরনের ভঙ্গি সম্ভবত সমর্থকদের হতাশ করতে পারে। তবে তার এমন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।
ভিএআর প্রযুক্তি নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন পোস্টেকোগলু। তার মতে, “ভিএআর-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সুস্পষ্ট ভুলগুলো চিহ্নিত করা। কিন্তু আজকের খেলায় গোল বাতিল করতে ছয় মিনিট সময় নেওয়া হলো। এত সময় নেওয়ার কোনো মানে হয় না। খুব শীঘ্রই হয়তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে, তখন খেলোয়াড়দেরও হয়তো প্রয়োজন হবে না।
ভিএআরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক বর্তমানে ফুটবল বিশ্বে একটি সাধারণ ঘটনা। খেলার ফল নির্ধারণে এর প্রভাব নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়। টটেনহ্যামের এই ম্যাচেও ভিএআরের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে খেলা শেষে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তথ্যসূত্র: The Guardian