জা মরান্ট, যিনি ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ)-এর মেমফিস গ্রিজলিসের হয়ে খেলেন, সম্প্রতি মিয়ামি হিটের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলায় জয়সূচক শট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। খেলার শেষ মুহূর্তে তাঁর করা এই জয়সূচক বাস্কেট দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
তবে মাঠের এই সাফল্যের পরও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মরান্ট।
গত দুই বছর ধরে সমালোচনার শিকার হওয়া এই বাস্কেটবল খেলোয়াড় নিজেকে ‘ভিলেন’ হিসেবে মনে করেন। তাঁর অতীতের কিছু ঘটনা, যেমন – সামাজিক মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করা এবং এর কারণে এনবিএ কর্তৃক তাকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, এই সমালোচনার মূল কারণ।
একবার ডেনভারের একটি নাইটক্লাবে এবং পরে গাড়ির সিটে অস্ত্র দেখানোর জন্য ২০২৩ সালে তাকে দু’বার নিষিদ্ধ করা হয়। প্রথমবার আট ম্যাচ এবং দ্বিতীয়বার ২৫ ম্যাচের জন্য তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন।
মিয়ামিতে হিটের বিরুদ্ধে খেলার সময়, একটি থ্রি-পয়েন্টারের পর তিনি তাঁর দলের বেঞ্চের দিকে বন্দুক তাক করার ভঙ্গি করেন, যা আবারও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যদিও এই ধরনের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে তিনি আগে সমালোচিত হয়েছেন, তবে মরান্ট জানিয়েছেন যে, এসব সমালোচনা তাঁকে মোটেও বিচলিত করে না।
তিনি বলেন, “আমি এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
গ্রিজলিসের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ টুওমাস আইসালো মরান্টের এই পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে বলেন, “এটা দেখাটা দারুণ ছিল। এটা শুধু আমার কোচ হিসেবেই নয়, পুরো দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, যখন আমাদের দলে এমন একজন খেলোয়াড় থাকে।
এই জয়ের ফলে মেমফিস গ্রিজলিস প্লে-ইন টুর্নামেন্ট থেকে রক্ষা পেয়ে ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে ৬ নম্বরে উঠে এসেছে। দলের সতীর্থ জ্যারেন জ্যাকসন জুনিয়র মরান্টের এই মনোভাবের প্রশংসা করে বলেন, “আমার মনে হয়, সে এইসব পরিস্থিতি উপভোগ করে। আমি তাকে কখনও কটাক্ষ করব না।
খেলায় মরান্ট ৩০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন, যার মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধে ছিল ২৭ পয়েন্ট।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস