৬ দিনে ২ বিশ্বরেকর্ড! দৌড়ে আমেরিকার জয়জয়কার, কে এই গ্রান্ট ফিশার?

শিরোনাম: গ্রান্ট ফিশার: ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে আমেরিকার নতুন তারকা, ভাঙলেন বিশ্বরেকর্ড

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৌড়বিদ গ্রান্ট ফিশার যেন সাফল্যের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। ফেব্রুয়ারি মাসটা ছিল তার জন্য স্বপ্নের মতো, যখন তিনি মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি বিশ্বরেকর্ড গড়ে তাক লাগিয়ে দেন।

প্রথমে ইনডোরে ৩০০০ মিটার দৌড়, এবং পরে ৫০০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ক্রীড়া বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি।

ফিশারের এই অসাধারণ সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম আর সঠিক কৌশল। সম্প্রতি তিনি তার কোচিংয়েও পরিবর্তন এনেছেন, যা তার পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

ওরেগনের বোয়ারম্যান ট্র্যাক ক্লাব ত্যাগ করে তিনি এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন হাইস্কুলের প্রাক্তন কোচ মাইক স্ক্যানেলের অধীনে। উচ্চতার প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্পন্ন পার্ক সিটি, ইউটাতে তিনি নিয়মিত অনুশীলন করেন।

নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত মিলরোজ গেমসে, ফিশার তার স্বদেশী প্রতিযোগী কোল হকারের সাথে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩০০০ মিটার দৌড় শেষ করেন ৭ মিনিট ২২.৯১ সেকেন্ডে।

এর ঠিক এক সপ্তাহ পরেই, বোস্টনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিযোগিতায় তিনি ৫০০০ মিটার দৌড় শেষ করেন ১২ মিনিট ৪৪.০৯ সেকেন্ডে। এই দুটি সময়েই তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েন, যা তার ক্রীড়া জীবনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

ফিশারের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ক্রীড়া বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, ফিশারের এই অসাধারণ ফর্ম আমেরিকার দূরপাল্লার দৌড়বিদদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

অলিম্পিকে ১৫০০ মিটার দৌড়বিদ ম্যাট সেন্ট্রাউইজ এবং ২০১৬ সালের অলিম্পিকে গ্যালেন রুপের পারফরম্যান্স তরুণ দৌড়বিদদের অনুপ্রাণিত করেছে। ফিশার নিজেও মনে করেন, এখন আমেরিকান দৌড়বিদরা বিশ্ব মঞ্চে ভালো ফল করার জন্য আত্মবিশ্বাসী।

ফিশারের পরবর্তী লক্ষ্য হলো জ্যামাইকাতে অনুষ্ঠিতব্য গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্র্যাক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া।

এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের সেরা দৌড়বিদরা অংশ নেবেন, যেখানে ফিশার তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চান। কিংবদন্তি মার্কিন দৌড়বিদ মাইকেল জনসন এই নতুন লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

ফিশার মনে করেন, এই ধরনের প্রতিযোগিতা দৌড়বিদদের নিজেদের সেরাটা প্রমাণ করার সুযোগ করে দেবে।

গ্রান্ট ফিশারের উত্থান প্রমাণ করে, কঠোর অনুশীলন, সঠিক প্রশিক্ষণ এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো কিছুই জয় করা সম্ভব।

তার এই সাফল্য শুধু তার নিজের জন্য নয়, বরং পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া জগতের জন্য একটি গর্বের বিষয়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *