রোগীর সুরক্ষায় কাজ করা সংস্থার উপর ট্রাম্পের কোপ: স্বাস্থ্যখাতে বিপদ?

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যখাতে গবেষণা বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার বাজেট ও কর্মী ছাঁটাই করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে রোগীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য গবেষণা ও গুণগত মান উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থাটি (Agency for Healthcare Research and Quality – AHRQ) মূলত স্বাস্থ্যখাতে গবেষণা পরিচালনা করে এবং রোগীদের নিরাপত্তা বিষয়ক দিকগুলো উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যখাতে রোগীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে থাকে। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্যখাতে অর্থ ব্যয়ের সঠিক ব্যবহারের মতো বিষয়গুলোতে এআরকিউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

উদাহরণস্বরূপ, হাসপাতালের সংক্রমণে কীভাবে রাশ টানা যায়, রোগীদের রোগ নির্ণয়ে কী ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন জটিলতা কিভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে এআরকিউ গবেষণা পরিচালনা করে থাকে।

সংস্থাটির বাজেট কমানোর ফলে স্বাস্থ্যখাতে গবেষণা এবং রোগীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপের কারণে স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক গবেষণাই হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে, যা রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

এছাড়া, কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে অভিজ্ঞ জনবলের অভাব দেখা দেবে, যা স্বাস্থ্যসেবার মানকে আরও দুর্বল করে তুলবে।

এআরকিউ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের সংগ্রহ করা তথ্য হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণ, হাম, মাদকাসক্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, রোগীদের উন্নত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা তৈরি করতেও তারা কাজ করে।

স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা এবং রোগীদের নিরাপত্তা বিধানে এআরকিউ-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, সংস্থাটির গবেষণার ফলস্বরূপ হাসপাতালে রোগীদের শরীরে সংক্রমণ (ইনফেকশন) কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

এছাড়া, শিশুদের জন্ডিস সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সমাধানেও এআরকিউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে স্বাস্থ্যখাতে গবেষণা বিষয়ক কার্যক্রমগুলো বাধাগ্রস্ত হবে এবং রোগীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *