গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান এবং ফিলিস্তিনি জনগণের উপর এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে, গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
একইসঙ্গে, হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং স্থল অভিযানে বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
উদ্বাস্তু হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। উদ্বাস্তু শিবিরে খাদ্য, জল এবং চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে।
গাজার হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’র সরকার জানিয়েছে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো হামাসকে নির্মূল করা।
তবে, আন্তর্জাতিক মহল মনে করে, এই সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনি জনগণের জীবনযাত্রা চরমভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে।
অনেক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, গাজায় মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
সেখানকার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
এছাড়াও, জাতিসংঘের স্কুলগুলোতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের উপরও হামলা হয়েছে, যেখানে বহু নারী ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত।
জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বজনদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন।
তবে, নেতানিয়াহু সরকার জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলকে সমর্থন জানাচ্ছে, যা সংঘাত দীর্ঘায়িত করতে সহায়তা করছে।
ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, ইসরায়েল তাদের ভূখণ্ড দখল করে সেখানে বসতি স্থাপন করছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি।
একইসঙ্গে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে, যেখানে উভয় পক্ষের মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হবে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা