যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন নিয়ে রিপাবলিকানদের বিদ্রোহ! ভেতরের খবর ফাঁস

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে ইউক্রেনকে সমর্থন করা নিয়ে বিভাজন ক্রমশ বাড়ছে। দলের অভ্যন্তরে একদিকে যেমন ইউক্রেনকে সমর্থন করার পক্ষে জোরালো আওয়াজ উঠছে, তেমনই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনেকে এখন বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতি গ্রহণ করছেন।

খবর অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে রিপাবলিকানদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত দেখা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে রিপাবলিকান পার্টি (GOP)-র অবস্থান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে, এই দলের অনেক নেতাই পররাষ্ট্রনীতিতে আগ্রাসী ভূমিকা নিতে সমর্থন করেছেন এবং ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানো তাদের অন্যতম নীতি ছিল।

কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দলের মধ্যে বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দলের কিছু সদস্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নীতির প্রতি সমর্থন দেখাচ্ছেন এবং ইউক্রেনকে সাহায্য করার বিরোধিতা করছেন।

এই পরিস্থিতিতে, রিপাবলিকান পার্টির কিছু সদস্য, যারা ইউক্রেনকে সমর্থন করেন, তাঁরা দলের মধ্যে তাঁদের অবস্থান ধরে রাখতে চেষ্টা করছেন। তাঁরা বিভিন্নভাবে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতির বিরোধিতা করছেন এবং ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য সচেষ্ট হচ্ছেন।

উদাহরণস্বরূপ, টেক্সাসের প্রাক্তন কংগ্রেসম্যান মাইকেল ম্যাককল দলের অভ্যন্তরে রাশিয়ার অপপ্রচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে দলের কিছু সদস্য রাশিয়ার দেওয়া ভুল তথ্য প্রচার করছেন।

এছাড়াও, রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ডন বেকনও দলের মধ্যেকার এই বিভাজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, দলের মধ্যেকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির ক্ষতি করছে এবং এর ফলে দলের রাজনৈতিক সাফল্যের সম্ভাবনাও কমে যাচ্ছে।

তিনি ইউক্রেনকে সমর্থন করার পক্ষে জোরালোভাবে মত প্রকাশ করেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রিপাবলিকান পার্টির এই বিভাজন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, ইউক্রেনকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তন হলে, তা বিশ্ব নিরাপত্তা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি উদ্বেগের কারণ হবে।

তবে, দলের মধ্যেকার এই ভিন্নমত সত্ত্বেও, ইউক্রেনকে সমর্থনকারী রিপাবলিকানরা তাঁদের অবস্থান ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। তাঁরা বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরছেন এবং দলের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাঁদের মূল লক্ষ্য হল, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।

তথ্য সূত্র: সিএনএন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *