যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘোষণার পর শেয়ার বাজারে দরপতন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই তিনি তাঁর বাণিজ্যনীতি নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন।
ফ্লোরিডায় অবকাশ যাপনকালে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তাঁর এই নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপির।
শুক্রবার সকালে মার-এ-লাগোতে (Mar-a-Lago), তাঁর ব্যক্তিগত ক্লাবে ঘুম থেকে উঠেই ট্রাম্প স্থানীয় গলফ কোর্সে যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘এই মুহূর্তে ধনী হওয়ার দারুণ সুযোগ’।
এরপর তিনি সমর্থকদের শুভেচ্ছাবার্তা জানান।
এদিকে, ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে আমেরিকার শেয়ার বাজার ক্রমাগত নিম্নমুখী হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে অর্থনৈতিক মন্দা (recession) দেখা দিতে পারে।
তাঁর এই সিদ্ধান্তের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হতে পারেন এবং জিনিসপত্রের দামও বাড়তে পারে। যদিও ট্রাম্প বলছেন, তাঁর এই পদক্ষেপ কোম্পানিগুলোকে আমেরিকায় ব্যবসা করতে উৎসাহিত করবে।
ট্রাম্প অবশ্য তাঁর নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ (Truth Social) লিখেছেন, তিনি তাঁর নীতিতে অটল থাকবেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ভিয়েতনামের সঙ্গে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চান। একইসঙ্গে চীনকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে তিনি বলেন, চীন ভুল করেছে এবং তাদের আতঙ্কিত হওয়া উচিত হয়নি।
অন্যদিকে, মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ২৮ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে, যা ট্রাম্পের জন্য কিছুটা স্বস্তিদায়ক খবর। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্কনীতি ঘোষণার আগের অর্থনৈতিক চিত্র এটি।
ট্রাম্প এর মাধ্যমে তাঁর নীতির যথার্থতা প্রমাণ করতে চাইছেন।
শেয়ার বাজারের এই অস্থিরতা এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাবের প্রেক্ষাপটে, ট্রাম্পের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং শুল্কনীতির এই পরিবর্তন বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে, তৈরি পোশাক শিল্পের মতো রপ্তানিনির্ভর খাতে এর প্রভাব পড়তে পারে।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতির এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকতে হবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস