যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে রাশিয়া: কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আসল সত্য! জানালেন মার্ক রুবিও

ইউক্রেন যুদ্ধ : রাশিয়া শান্তি চায়, নাকি সময়ক্ষেপণ করছে? কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই জানা যাবে, জানালেন মার্ক রুবিও।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া কতটা আন্তরিক, তা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও। ব্রাসেলসে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। খবর আল জাজিরার।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও জানান, রাশিয়া আলোচনার টেবিলে বসতে চায় কিনা, নাকি শুধু সময়ক্ষেপণ করছে, সেটি খুব দ্রুতই বোঝা যাবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে আলোচনার নামে যেন কালক্ষেপণ না করা হয়, সে ব্যাপারে ওয়াশিংটন সতর্ক রয়েছে।

ন্যাটো সম্মেলনে রুবিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই সামরিক জোটের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ন্যাটো নিয়ে কিছুটা ভিন্ন সুর শোনা গেলেও, বর্তমান প্রশাসন জোটের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিও রাশিয়ার বিরুদ্ধে আলোচনার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, রাশিয়া এখনো বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে।

অন্যদিকে, রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শর্তে রাজি হতে পারছেন না। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, রাশিয়ার একজন বিশেষ দূত সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফর করেছেন। ফলে আলোচনার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবও ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দেন এবং জোটের প্রতি সমর্থন জানান। তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর সঙ্গে থাকবে এবং জোটকে আরও শক্তিশালী করতে চায়।

ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর সদস্য হিসেবে থাকবে এবং ইউরোপে তাদের উপস্থিতি বজায় রাখবে।

তবে ব্রাসেলস থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ন্যাটো জোটের দেশগুলোর মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় নিয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে। বিশেষ করে, দেশগুলোর প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অনেক সদস্যের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রীও এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।

এই মুহূর্তে ইউক্রেন যুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর কারণ হলো, এই যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও পরিবর্তন এসেছে। যুদ্ধের কারণে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ। এছাড়া, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন জোট ও মোর্চার মধ্যে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে, যা বিশ্ব শান্তির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *