ভোটের ফল পাল্টাতে মরিয়া রিপাবলিকান, রায় দিলেন বিচারকরা!

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের একটি আদালতের রায়ে আসন্ন একটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোট বাতিলের সিদ্ধান্তের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে সেখানকার প্রায় ৬৫,০০০ ভোটারের ভোট বাতিল হয়ে যেতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনের ফল পরিবর্তনেরও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যালিসন রিগস সামান্য ভোটের ব্যবধানে রিপাবলিকান প্রার্থী জেফারসন গ্রিফিনকে পরাজিত করেন। নির্বাচনের ফলাফলের পর, গ্রিফিন প্রায় ৬০,০০০ ভোট বাতিলের আবেদন জানান।

সম্প্রতি, আপিল আদালত গ্রিফিনের পক্ষে রায় দেওয়ায় এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ভোটার আইডি নম্বর অথবা সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অনেক ভোটারের ভোট বাতিল হতে পারে। এছাড়া, যারা রাজ্যের বাসিন্দা নন বা যারা রাজ্যের বাইরে থেকে ভোট দিয়েছেন, তাদের ভোটও গণনার অযোগ্য হতে পারে।

আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ডেমোক্র্যাট দল এবং বিভিন্ন অধিকার সংস্থা এই রায়কে গণতন্ত্রের পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত ভোটারদের অধিকার হরণ করার শামিল।

তারা মনে করেন, এর মাধ্যমে নির্বাচনে জনগণের রায়কে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায়, এই রায়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এই বিষয়ে, বিরোধীপক্ষের আইনজীবী টবি হ্যাম্পসন বলেন, ভোটের ফল পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে নিয়ম পরিবর্তন করাটা সঠিক নয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক ভোটার তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

নর্থ ক্যারোলাইনার মানবাধিকার সংস্থা ‘কমন কজ’-এর নির্বাহী পরিচালক বব ফিলিপস এই রায়কে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির প্রধান কেন মার্টিন বলেছেন, এই রায়ের কোনো আইনি ভিত্তি নেই এবং এটি গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *