ঐতিহাসিক! ‘দ্য লাস্ট ফাইভ ইয়ার্স’: ব্রডওয়েতে ভালোবাসার গল্প!

নিউ ইয়র্ক সিটি, মার্চ ১৯, ২০২৪: বহু প্রতীক্ষিত সঙ্গীত-নাটক ‘দ্য লাস্ট ফাইভ ইয়ার্স’ অবশেষে ব্রডওয়েতে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে।

জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা নিক জোনাস এবং টনি পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী অ্যাড্রিয়েন ওয়ারেন অভিনীত এই প্রযোজনাটি ভালোবাসার গল্প বললেও, এর গভীরতা অনেক বেশি।

সম্পর্কের উত্থান-পতন, স্বপ্নভঙ্গ এবং শিল্পী জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে এই নাটকের কাহিনী।

নাটকটির গল্প একটি দম্পতির পাঁচ বছরের সম্পর্ককে ঘিরে বোনা হয়েছে।

এই গল্পের একদিকে রয়েছেন লেখক হতে চাওয়া জেমি, যিনি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাফল্যের শিখরে আরোহণ করেন।

অন্যদিকে রয়েছেন অভিনেত্রী ক্যাথি, যিনি নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করেন।

এই দুই চরিত্রকে দুটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ক্যাথির গল্প শুরু হয় সম্পর্ক ভাঙনের মধ্য দিয়ে, যেখানে তিনি অতীতের দিকে ফিরে যান।

অন্যদিকে, জেমির গল্প শুরু হয় তাদের প্রথম সাক্ষাতের আনন্দ থেকে, যা ধীরে ধীরে বিচ্ছেদের দিকে মোড় নেয়।

নাটকটির পরিচালক হুইটনি হোয়াইট জানিয়েছেন, “এই নাটকটি শুধু একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং সম্পর্কের জটিলতা এবং শিল্পীর জীবন সংগ্রামের এক দারুণ চিত্র।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা সবাই কোনো না কোনো সময় এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাই, যেখানে একজন মানুষ সাফল্যের চূড়ায় আরোহণ করে, আর অন্যজন সেই সাফল্যের সাক্ষী হয়েও নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়ে যায়।”

নাটকটির লেখক জেসন রবার্ট ব্রাউন, যিনি এর সঙ্গীত পরিচালনাও করেছেন, জানিয়েছেন যে ব্রডওয়ের মঞ্চে নাটকটি উপস্থাপন করা তাঁর কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতো।

তিনি বলেন, “আমি কখনোই ভাবিনি, আমার এই ছোট, ব্যক্তিগত কাজটি একদিন ব্রডওয়ের মতো বিশাল মঞ্চে আসবে।

তবে, এই যাত্রায় আমি খুবই আনন্দিত।”

‘দ্য লাস্ট ফাইভ ইয়ার্স’ প্রথমবার ২০০১ সালে ইলিনয়ে মঞ্চস্থ হয়।

এরপর ২০০২ সালে এটি অফ-ব্রডওয়েতে আসে এবং দ্রুত দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে।

নাটকটি বিভিন্ন আঞ্চলিক থিয়েটারে এবং কলেজেও নিয়মিতভাবে মঞ্চস্থ হয়েছে।

এমনকি আনা কেনড্রিক ও জেরেমি জর্ডান অভিনীত একটি চলচ্চিত্রও তৈরি হয়েছে এই নাটক অবলম্বনে।

এই নাটকের প্রধান অভিনেতা নিক জোনাস জানিয়েছেন, “এই নাটকের কাজ করতে গিয়ে আমি নিজের ভেতরের অনেক প্রশ্ন খুঁজে পেয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয়, এই নাটকটি দর্শকদের নিজেদের সম্পর্কের গভীরতা বুঝতে সাহায্য করবে।”

আশা করা হচ্ছে, ‘দ্য লাস্ট ফাইভ ইয়ার্স’ ব্রডওয়ের দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হবে এবং ভালোবাসার এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করবে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *