মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিতে নতুন করে শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্বজুড়ে বাজারের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ঘোষিত এই শুল্ক নীতি বর্তমানে কার্যকর হয়েছে, যার ফলস্বরূপ শেয়ার বাজারগুলোতে দরপতন শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই শুল্কের পরিমাণ ১০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্কের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, যে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে, তাদের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে।
চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশের পণ্যের ওপর এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেয়ার বাজারের সূচকগুলোতেও এর প্রভাব স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। বিভিন্ন দেশের প্রধান শেয়ার বাজারগুলোতে সূচক উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন, যার ফলস্বরূপ বাজারে অস্থিরতা আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন, যা বাজারকে আরও দুর্বল করে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিও এই পরিবর্তনের বাইরে নয়। যদিও সরাসরি প্রভাব এখনো তেমন বোঝা যাচ্ছে না, তবে বিশ্ব অর্থনীতির এই অস্থিরতা বাংলাদেশের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
বিশেষ করে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে খরচ বাড়তে পারে। এছাড়া, বিশ্ববাজারে পণ্যের দামের পরিবর্তন হলে, তা বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রেখে ব্যবসার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।
প্রয়োজনে বিকল্প বাজার খুঁজে বের করতে হবে এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উপর জোর দিতে হবে। সরকারকেও বাণিজ্য নীতি পর্যালোচনা করে দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশ্ব অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়ীদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য এই মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা