মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের প্রস্তুতি চলছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে, বিশেষ করে ওয়াশিংটন ডিসি এবং ফ্লোরিডায়, আগামী শনিবার এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করছে। তাদের দাবি, প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ এতে অংশ নেবেন।
বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের ‘স্বৈরাচারী নীতি’ এবং ‘ধনকুবেরদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট এজেন্ডা’র তীব্র বিরোধিতা করছেন। প্রতিবাদকারীরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসন সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের অধিকার খর্ব করছে এবং সমাজের ধনী শ্রেণীর প্রতি পক্ষপাত দেখাচ্ছে।
বিক্ষোভের আয়োজকদের মধ্যে রয়েছে ‘মুভঅন’ (MoveOn)-এর মতো সংগঠন, বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন, পরিবেশবাদী এবং প্রগতিশীল গোষ্ঠী। জানা গেছে, দেশজুড়ে এক হাজারের বেশি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে।
আয়োজকদের ধারণা, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হওয়া বৃহত্তম প্রতিবাদগুলির মধ্যে অন্যতম। ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মলে বৃহত্তম সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে, যেখানে ডেমোক্রেট দলের কয়েকজন কংগ্রেসম্যানও বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবাদকারীরা মনে করেন, বর্তমান সরকারের নীতি দেশের অর্থনীতি, সরকারি পরিষেবা এবং জনগণের মৌলিক অধিকারের ওপর আঘাত হানছে।
এই বিক্ষোভ এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর শেয়ার বাজারে দরপতন হয়েছে। তা সত্ত্বেও, ট্রাম্প তাঁর নীতি পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন।
একটি জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন পর্যায়ে, যা প্রায় ৪৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ‘নারী মার্চ’-এ অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৪ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ। যা ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ছিল।
সেই হিসেবে, এই বিক্ষোভের ব্যাপকতা সহজেই অনুমেয়।
তথ্য সূত্র: The Guardian