একটি অভিনব আবাসন ধারণা: অ্যামাজনে ৫০,০০০ ডলারের নিচে কন্টেইনার ঘর!
বর্তমান বাজারে বাড়ির দাম আকাশছোঁয়া। এমন পরিস্থিতিতে, যদি একটি বিকল্পের কথা ভাবা যায়, তাহলে কেমন হয়?
অ্যামাজনে পাওয়া যাচ্ছে দুই তলা বিশিষ্ট, ছোট আকারের কন্টেইনার ঘর, যার দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ৫০,০০০ ডলার থেকে!
বিদেশি একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই ঘর তৈরি করেছেন বাংলাদেশের ‘স্মিথ অ্যান্ড আন্ড্রিয়া মার্ট’। খবরটি জানিয়েছে, এই ধরনের বাড়ি তৈরি করা বেশ সহজ এবং ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ঘরটিকে সাজিয়ে নিতে পারবেন।
এই কন্টেইনার ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে ২০ বাই ২০ ফুটের কাঠামোতে।
প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি করে বেডরুম, যার প্রতিটির মাপ ১০ বাই ১০ ফুট। এছাড়াও, এতে দুটি বাথরুম, ১০০ বর্গফুটের রান্নাঘর এবং ২০০ বর্গফুটের একটি লিভিং এরিয়া রয়েছে।
বাড়ির সামনে বারান্দা এবং দ্বিতীয় তলার ব্যালকনিও বেশ আকর্ষণীয়। সবমিলিয়ে, ছোট হলেও, এটি থাকার জন্য বেশ আরামদায়ক একটি ব্যবস্থা।
ঘরের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের জন্য রয়েছে বড় বড় জানালা। এছাড়াও, আকর্ষণীয় একটি বিষয় হলো—ভেতরে একটি স্পাইরাল সিঁড়ি রয়েছে।
প্রস্তুতকারকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই বাড়িতে টয়লেট, শাওয়ার ও বেসিন-এর ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী—যেমন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি—ক্রেতাদের নিজেদের ব্যবস্থা করতে হবে।
জানা গেছে, এই বাড়ি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো তৈরি করা হয়েছে উন্নতমানের উপকরণ দিয়ে। অনেকটা ‘ইকেয়া’র আসবাবপত্রের মতো, এই বাড়ির বিভিন্ন অংশ আলাদাভাবে প্যাক করা থাকে।
বিক্রেতাদের দাবি, পাঁচ জন লোক মিলে মাত্র দু’দিনে এটি তৈরি করতে পারবে।
তবে, বাড়ি তৈরির জন্য একটি ফর্কলিফ্ট ও ক্রেনের প্রয়োজন হতে পারে।
এছাড়াও, বিদ্যুতের সংযোগ ও পানির লাইনের জন্য আলাদাভাবে মিস্ত্রি ডাকার প্রয়োজন হবে।
এই ধরনের বাড়ি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এখনো খুব একটা পরিচিত নয়।
তবে, সীমিত আয়ের মানুষের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
বিশেষ করে, ঢাকার মতো শহরে যেখানে ফ্ল্যাটের দাম অনেক বেশি, সেখানে এই ধরনের বাড়ি তৈরি করে বসবাস করা সাশ্রয়ী হতে পারে।
তবে, মনে রাখতে হবে, ওয়েবসাইটে দেওয়া দামটি কেবল একটি প্রাথমিক খরচ।
এর সঙ্গে পরিবহন খরচ, শুল্ক এবং অন্যান্য কর যোগ হয়ে চূড়ান্ত খরচ আরও বাড়তে পারে।
তাই, এই ধরনের বাড়ি কেনার আগে বিস্তারিতভাবে সবকিছু জেনে নেওয়া ভালো।
অ্যামাজনে এই ধরনের আরও কিছু বিকল্প রয়েছে।
যেমন, ‘ওয়াকম্যাক্স’ ব্র্যান্ডের বাড়িগুলোও বেশ জনপ্রিয়।
এছাড়াও, ‘এরফিটিয়া’ -এর তৈরি করা স্টাইলিশ কন্টেইনার ঘরগুলোও ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
আবাসন সমস্যার সমাধানে নতুন এই ধারণাটি বাংলাদেশে কতটা জনপ্রিয়তা পাবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল + লেজার
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			