ছেলেদের খেলা দেখতে না পাওয়ার কষ্ট: এলটন জন

এলোমেলো দৃষ্টিশক্তির কারণে উদ্বিগ্ন, পরিবারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী স্যার এলটন জন।

বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী স্যার এলটন জন তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারানোর বেদনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। গত বছর মারাত্মক চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি ভালোভাবে দেখতে পারছেন না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অভিজ্ঞতার কথা জানান।

সাক্ষাৎকারে ৭৬ বছর বয়সী এই শিল্পী বলেন, “আমি এখন আর টেলিভিশন দেখতে পাই না। আমার ছেলেদের রাগবি ও ফুটবল খেলাও দেখতে পারি না। এটা খুবই কষ্টের।” তাঁর দুই সন্তান, ১৪ বছর বয়সী জ্যাকারি ও ১২ বছর বয়সী ইলাইজার সঙ্গে তাঁর স্বামী চলচ্চিত্র নির্মাতা ডেভিড ফার্নিশ বসবাস করেন। এলটন জন জানান, দৃষ্টিশক্তির এই সমস্যা তাঁর জীবনে এক নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আগে সবকিছু উপভোগ করতে পারলেও এখন তা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

তবে, এই দুঃসময়েও এলটন জন তাঁর পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, “আমার পরিবার আছে, আর আমি এখনও কিছুটা দেখতে পাই। জীবন আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, তাই আমি হতাশ নই।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি সবসময় চেয়েছি মঞ্চে গান গাইতে গাইতে যেন আমার মৃত্যু হয়। কিন্তু এখন আমি চাই আমার সমাধির উপরে লেখা হোক, ‘তিনি একজন মহান বাবা ছিলেন’। আমার সঙ্গীতজীবন অসাধারণ, কিন্তু আমার সন্তানেরাই আমার কাছে সব।”

দৃষ্টিশক্তির সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, এলটন জন সম্প্রতি নতুন গান তৈরির কাজ করেছেন। মার্কিন শিল্পী ব্রান্ডি কার্লাইলের সঙ্গে তাঁর নতুন গান ‘হু বিলিভস ইন অ্যাঞ্জেলস?’ তৈরি হয়েছে। এই গানের প্রযোজক হিসেবে ছিলেন অ্যান্ড্রু ওয়াট এবং তাঁর দীর্ঘদিনের সহযোগী বার্নি টপিনের।

সংগীতজীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এলটন জন বলেন, সঙ্গীত যেন তাঁর শরীরে মিশে আছে। এটা তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। তিনি বলেন, “আমি এখন ৭৮ বছর বয়সেও আগের চেয়ে ভালো অনুভব করছি। এই চোখের সমস্যাটা কষ্ট দেয়, তবে আমরা অবশ্যই এটি কাটিয়ে উঠব। এখনো অনেক কিছু করার আছে।”

২০২৩ সালে গ্ল্যাস্টনবেরিতে তাঁর কনসার্টটি ছিল যুক্তরাজ্যের শেষ পরিবেশনা। এর আগে তিনি ৩৩০টি কনসার্ট নিয়ে ‘ফেয়ারওয়েল ইয়েলো ব্রিক রোড’ নামে একটি বিশ্ব সফর শেষ করেন। সুইডেনের স্টকহোমে ছিল এই সফরের শেষ কনসার্ট। এলটন জন একসময় বছরে ১২০টির বেশি কনসার্টে অংশ নিতেন, কিন্তু সন্তানের কারণে তাঁর জীবন সম্পূর্ণ বদলে গেছে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *