বিখ্যাত জ্যাজ শিল্পী চেট বেকার-এর গানগুলিকে নতুন রূপে পরিবেশন করে সাড়া ফেলেছে ‘চেট বেকার রি:ইম্যাজিনড’ অ্যালবামটি। ব্লু নোট রেকর্ডসের এই নতুন অ্যালবামে আর অ্যান্ড বি, পপ, সোল এবং জ্যাজ ঘরানার ১৫ জন শিল্পী অংশ নিয়েছেন।
তাঁদের কাজগুলি কেমন হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
চেট বেকার, যিনি ১৯২৯ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত সঙ্গীত জগতে সক্রিয় ছিলেন, তাঁর নরম কণ্ঠ এবং সুরেলা ট্রাম্পেট বাজানোর জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তাঁর গানগুলি সহজে অনুকরণ করা গেলেও, তাঁর মতো করে পরিবেশন করা কঠিন।
ব্লু নোট রেকর্ডস তাদের পুরনো গানের সম্ভার থেকে নতুন করে শিল্পী নির্বাচন করে গানগুলি তৈরি করার যে পরিকল্পনা করেছে, সেই ধারাবাহিকতায় ‘চেট বেকার রি:ইম্যাজিনড’ অ্যালবামটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই অ্যালবামের গানগুলিতে কেউ কেউ চেট বেকারের গানের মূল সুরকে ধরে রেখেছেন, আবার কারো কারো পরিবেশনায় ভিন্নতা দেখা গেছে।
ডডি-র গাওয়া ‘ওল্ড ডেভিল মুন’ গানটিতে ল্যাটিন বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার মূল গানের আবেদনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ব্রিটিশ শিল্পী ম্যাট মাল্টিজের ‘মাই ফানি ভ্যালেন্টাইন’-এ একটি সুন্দর গিটার বাজানো হয়েছে, যা পুরনো এই গানের সুরে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
অন্যদিকে, কিছু শিল্পী, যেমন এমএক্সএমটুন-এর ‘আই ফল ইন লাভ টু ইজিলি’ গানটি চেট বেকারের মূল ভাব থেকে কিছুটা দূরে সরে গেছে।
তবে, প্রতিটি দুর্বলতার মাঝেও কিছু উজ্জ্বল দিক রয়েছে। ইজরা কালেকটিভের ট্রাম্পেট শিল্পী ইফ ওগুনজোবির ‘স্পিক লো’ গানটি শোনা যেন এক নতুন অভিজ্ঞতা।
একইভাবে, পুমা ব্লু-এর ‘ইটস অলওয়েজ ইউ’ গানটিতে রিভার্বের ব্যবহার গানটিকে দিয়েছে অন্যরকম আবহ।
সব মিলিয়ে, ‘রি:ইম্যাজিনড’ প্রকল্পটি চেট বেকারের গানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তাঁর সুরকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার একটি দারুণ প্রয়াস।
এটি প্রমাণ করে, তাঁর গানগুলি এখনো কতটা প্রাসঙ্গিক এবং শিল্পীরা কীভাবে সেগুলিকে নিজেদের মতো করে পরিবেশন করতে পারেন।
এই অ্যালবামটি জ্যাজ সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহী শ্রোতাদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ হতে পারে, পাশাপাশি এটি বিভিন্ন ঘরানার সঙ্গীত প্রেমীদেরও নতুন কিছু শোনানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান