নেট শূন্য’র ভবিষ্যৎ: কঠিন পরিস্থিতিতে কিং চার্লস?

যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক তার সমর্থন কিছুটা কমিয়ে আনতে পারেন। কারণ, দেশটির সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন বলে মনে করছে।

সম্প্রতি দেশটির একজন শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী এই বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন।

ঐতিহ্যগতভাবে, ব্রিটেনের রাজপরিবার দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে আসছে। রাজা তৃতীয় চার্লসও এই বিষয়ে অনেক কথা বলেছেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি বিশ্ব নেতাদের প্রতি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, রাজার এই ধরনের বক্তব্য কিছুটা সীমিত হতে পারে।

ব্রিটিশ সরকারের নতুন নীতি পরিবর্তনের কারণে রাজার জলবায়ু বিষয়ক আলোচনায় সতর্ক হতে হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের একটি প্রধান রাজনৈতিক দল মনে করে, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামানো কঠিন।

এমন পরিস্থিতিতে রাজার মুখ খোলা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ এর মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

বিষয়টি এমন একটি সময়ে এসেছে যখন বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের কারণ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং দেশগুলো তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করছে।

এই প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাজ্যের রাজার অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানে রাজা তৃতীয় চার্লস ও রাণী ক্যামিলা ইতালিতে সরকারি সফরে রয়েছেন।

এই সফরে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ইতালির সঙ্গেclean energy তে উত্তরণের বিষয়ে যুক্তরাজ্য কিভাবে কাজ করছে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া, ইতালির একটি অঞ্চলে বন্যা কবলিত কৃষকদের সঙ্গেও রাজা সাক্ষাৎ করবেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজার এই ধরনের পদক্ষেপ ব্রিটেনের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করবে।

পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনগুলোও চাইছে, রাজা যেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তার কথা বলা অব্যাহত রাখেন।

তারা মনে করেন, রাজার এই বিষয়ে কথা বলা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্রিটেনের ভাবমূর্তিকে শক্তিশালী করবে।

তবে, রাজপরিবারের সদস্যরা এখন আগের চেয়ে সতর্ক হতে পারেন। সম্ভবত প্রিন্স উইলিয়ামও আসন্ন একটি জলবায়ু সম্মেলনে তার মতামত প্রকাশে আরও সংযত হবেন।

সংক্ষেপে বলা যায়, যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তনের কারণে রাজা তৃতীয় চার্লসকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে তার বক্তব্য আরও সতর্কভাবে দিতে হতে পারে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *