যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন ডিসি-তে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আগামী সোমবার এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে শুল্ক, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক, গাজায় চলমান যুদ্ধ, তুরস্ক-ইসরায়েল সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনালাপ হয়। সেই সময় শুল্কের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছিল।
ইসরায়েলের বাণিজ্য থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ট্রাম্পের ‘পাল্টা শুল্ক’ নীতির কারণে ইসরায়েলকে ১৭ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে।
তবে সম্প্রতি ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় চার দশক আগে স্বাক্ষরিত দুই দেশের মধ্যেকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯৮ শতাংশ পণ্য কোনো শুল্ক ছাড়াই ইসরায়েলে প্রবেশ করে।
নেতানিয়াহু বর্তমানে হাঙ্গেরি সফরে রয়েছেন। ২০২৩ সালের পর এই প্রথম তিনি ইউরোপে সফরে গিয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
হাঙ্গেরির সরকার, নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানানোর ঠিক আগে আইসিসি থেকে তাদের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়।
বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করা এবং ফিলিস্তিনিদের হাতে বন্দী ইসরায়েলিদের মুক্তি নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত মাসে হামাসের সঙ্গে স্বল্পকালীন যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিয়ে গাজায় আবারও হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
এছাড়াও, ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি নতুন চুক্তির জন্য দেশটির সঙ্গে আলোচনা করতে চাপ সৃষ্টি করেছেন।
ইরান আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে তেহরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টার অভিযোগ করে আসছে। যদিও ইরান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং তাদের পারমাণবিক কার্যক্রমকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা