ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আসন্ন বৈঠকে মিলিত হতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। উভয় নেতার মধ্যে আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে শুল্ক বৃদ্ধি, গাজায় চলমান পরিস্থিতি, ইরানের হুমকি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি’র তদন্ত বিষয়ক বিষয়গুলি।
সোমবার হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আলোচনার মূল বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইসরায়েলের পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রধান বাণিজ্যিক সহযোগী এবং ঘনিষ্ঠ মিত্র। দেশ দুটি প্রায় ৪০ বছর আগে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে।
বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগের কারণ।
এছাড়াও, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি’র তদন্তের বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনায় আসবে। আইসিসি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাণিজ্যিক শুল্কের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে এবং বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের পণ্যের উপরও নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই বৈঠকের ফলাফল ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান