কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসাতে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এতে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেখানকার প্রধান নদী এনজিলি (Ndjili) বিপদসীমা অতিক্রম করে, যার ফলস্বরূপ এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বন্যার কারণে বহু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট জলের নিচে তলিয়ে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, এমনকি বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “গতকাল রাতে বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমরা গাড়িতেই আটকা পড়েছিলাম, কারণ পার্ক করার মতো কোনও নিরাপদ জায়গা ছিল না।”
কিনশাসার গভর্নর ড্যানিয়েল বাম্বা লুবাকি জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে এবং খুব শীঘ্রই তা পুনরায় চালু করা হবে।
তিনি অবৈধভাবে ঘরবাড়ি তৈরিকে এই ক্ষতির জন্য দায়ী করেছেন এবং যারা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন, তাদের উচ্ছেদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। হাইড্রোলজিস্ট রাফায়েল তশিমাঙ্গা মুয়াম্বা জানান, মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপের কারণে নদীর স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে, ফলে বন্যা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে দেশটির পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩-এর হামলাও অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে সেখানকার পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে উঠেছে।
গত কয়েক মাসে বিদ্রোহীক হামলায় ৭,০০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষ।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা