লেসলি ম্যানভিলের কণ্ঠে: যুক্তরাজ্যের আঞ্চলিক থিয়েটারের জন্য অর্থ সংকট!

ব্রিটিশ অভিনেত্রী লেসলি ম্যানভিল যুক্তরাজ্যের আঞ্চলিক থিয়েটারগুলোর জন্য আরও বেশি অর্থ বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি অলিভার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতার পর এই বিষয়ে কথা বলেন।

ম্যানভিল মনে করেন, এই থিয়েটারগুলো তরুণ অভিনেতাদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, কিন্তু বর্তমানে তারা পর্যাপ্ত অর্থ পায় না।

লন্ডনের উইন্ডহ্যাম থিয়েটারে ‘ইডিপাস’ নাটকে জোকাস্তার চরিত্রে অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে অলিভার পুরস্কার জেতেন ম্যানভিল। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বিশেষভাবে রাজধানী ঢাকার বাইরের থিয়েটারগুলোর প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

তাঁর মতে, সেখানকার থিয়েটারগুলোর আরও বেশি সমর্থন প্রয়োজন। তিনি তাঁর অভিনয় জীবনের শুরুতে রয়্যাল শেক্সপিয়ার কোম্পানির সঙ্গে স্ট্র্যাটফোর্ড-আপন-অ্যাভনে কাজ করেছেন এবং ২০১৬ সালে ব্রিস্টল ওল্ড ভিক-এ জেরেমি আয়রনসের সঙ্গে ‘লং ডে’জ জার্নি ইনটু নাইট’ নাটকে অভিনয় করেন।

আঞ্চলিক থিয়েটারগুলো এখন আর সেভাবে অর্থ পায় না। এখনো যেন উত্তর-দক্ষিণের বিভাজন বিদ্যমান। আমি চাই আঞ্চলিক থিয়েটারগুলো আরও বেশি অর্থ পাক। যখন আমি শুরু করেছিলাম, তখন এটা অসাধারণ ছিল। যে কোনো জায়গায় যাওয়া যেত। এটা ছিল সত্যিকারের প্রশিক্ষণের জায়গা।

ম্যানভিল

তিনি আরও বলেন, “কিছু তরুণ অভিনেতা কোথাও নাটক করতে উৎসাহিত হয় না। শুধু অভিনয় করো!” তাঁর মতে, থিয়েটার হলো একটি অত্যাবশ্যকীয় প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র এবং এটি সিনেমার কাজের চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করে।

“আপনি মঞ্চে পা রাখলে অনেক কিছু শিখতে পারবেন, যেখানে আপনাকে সম্পাদনা করার সুযোগ নেই। সেখানে কেউ আপনার হাত ধরে রাখবে না, আপনাকে একাই সব করতে হবে।”

এদিকে, থিয়েটার্স ট্রাস্ট নামের একটি সংস্থা সম্প্রতি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে ৪৩টি থিয়েটার বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্থিক সংকট ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা।

ডিসেম্বরে, ‘ক্যাম্পেইন ফর দ্য আর্টস’ জোটের এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০০৯-২০১০ সাল থেকে ইংল্যান্ডে স্থানীয় সরকার সংস্কৃতি খাতে জনপ্রতি ৫০ শতাংশের বেশি অর্থ কমিয়েছে।

যদিও সরকার সম্প্রতি আর্টস এভরিহোয়্যার ফান্ডের অধীনে প্রায় ২৭০ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি) ঘোষণা করেছে, যার প্রায় ৮৫ শতাংশ জরুরি নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *