ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
রবিবার চালানো হামলায় একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এতে নারী ও শিশুসহ ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রগুলো হতাহতের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে, রাজধানী সানার পশ্চিমে অবস্থিত বানি মাতার জেলার আল জাবাল আল-আসওয়াদ এলাকাতেও তিনটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তবে, এসব হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছিল, সা’দা শহরে চালানো মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে দুইজন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছে।
হুথি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, একটি দ্বিতল ভবন হামলার শিকার হয়ে ধসে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনে বিমান হামলার তীব্রতা বেড়েছে। মূলত, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুথিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
হুথিরা ইসরায়েলের গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা এবং যুদ্ধ পুনরায় শুরুর প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এই হামলাগুলো চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত মাস থেকে শুরু হওয়া মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনে বহু মানুষ নিহত হয়েছে। বেসামরিক নাগরিক, পরিবার এবং সামরিক স্থাপনাগুলোও এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০০টির বেশি হামলা চালানো হয়েছে।
হুথিরা গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত একশটির বেশি বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও, তারা মার্কিন যুদ্ধজাহাজকেও লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
হুথিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজগুলোকেই মূলত টার্গেট করছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ই মার্চ ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর ইসরায়েল গাজায় হামলা জোরদার করেছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা