ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর গুলিতে ১৪ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি-মার্কিন কিশোর নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানা গেছে, নিহত কিশোরের নাম ওমর মোহাম্মদ রাবেয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম তীরের টারমাস আয়া এলাকার একটি বসতির কাছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওমর রাবেয়া সহ আরও দুই কিশোরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই বসতি স্থাপনকারী।
গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলস্বরূপ ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও বেড়েছে।
স্থানীয় মেয়র আদিব লাফি জানিয়েছেন, নিহত কিশোর ওমর রাবেয়ার পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং একে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের “বিচারহীন সহিংসতার” আরেকটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ এবং বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোও ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি এলাকাগুলোতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং বসতি স্থাপনকারীরা প্রায়ই কোনো বিচারিক জবাবদিহিতার সম্মুখীন হয় না।
অতীতেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের হাতে মার্কিন নাগরিকদের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে, ২০২৪ সালে, অবৈধ ইসরায়েলি বসতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময়, তুর্কি-মার্কিন কর্মী আয়সেনুর এজগি আইগি-কে ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে হত্যা করে।
এছাড়া, ২০২২ সালে আল-জাজিরার ফিলিস্তিনি-মার্কিন সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ-কেও ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করে, যদিও তিনি একজন সাংবাদিক হিসেবে সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত ছিলেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা