আতঙ্কে বিশ্ব! ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে দৌঁড়ঝাঁপ, আলোচনায় ৫০টির বেশি দেশ

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির জেরে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য যুদ্ধ, আলোচনায় ৫০টির বেশি দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন আমদানি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। খবর অনুযায়ী, এরই মধ্যে এই শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য ৫০টির বেশি দেশ আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

এই শুল্ক নীতি আগামী কিছুদিনের মধ্যেই কার্যকর হতে চলেছে। এর ফলে বিশ্ব বাণিজ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, অন্যায্য বাণিজ্য চর্চা সহজে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায় না। তাই, যুক্তরাষ্ট্র এখন বিভিন্ন দেশের প্রস্তাবনার দিকে তাকিয়ে আছে এবং দেখছে তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়।

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা জিতব। শক্ত থাকুন, এটা সহজ হবে না।

এই শুল্ক নীতির কারণে ইতিমধ্যে চীনসহ বিভিন্ন দেশ পাল্টা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। ইসরায়েলের মতো মিত্র দেশগুলোও এই শুল্কের আওতায় এসেছে, যেখানে ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে, যেখানে এই শুল্কের বিষয়টিও আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে।

এছাড়াও, ভিয়েতনাম, যারা পোশাক শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, তারাও এই শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে।

দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারলে শুল্ক শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রস্তুত।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এই পদক্ষেপের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও, তাঁর দেশের ব্যবসায়ীদের সুরক্ষায় আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক বলেছেন, এই শুল্ক এখনই স্থগিত করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, এই শুল্ক কয়েক দিন বা সপ্তাহের জন্য কার্যকর থাকবে।

এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন কংগ্রেসেও শুল্ক নীতি নিয়ে ভিন্নমত দেখা যাচ্ছে। অনেক রিপাবলিকান সিনেটর একটি নতুন বিলের খসড়া তৈরি করেছেন, যেখানে নতুন শুল্ক আরোপের আগে কংগ্রেসের অনুমোদন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এই বিলের মাধ্যমে শুল্ক বিষয়ে কংগ্রেসের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই শুল্ক নীতি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

কারণ, এর ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা আসারও আশঙ্কা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *