ছয় বছর পর উত্তর কোরিয়ায় ফিরছে পিয়ংইয়ং ম্যারাথন, অংশ নিচ্ছেন বিদেশি দৌড়বিদরা।
দীর্ঘ ৬ বছর পর উত্তর কোরিয়া তাদের ঐতিহ্যবাহী পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর, দেশটি ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে, তারই অংশ হিসেবে এই ম্যারাথন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ এবং শ্রমিক দলের মুখপত্র ‘রডং সিনমুন’-এর খবর অনুযায়ী, চীন ও রোমানিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দৌড়বিদরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। সাধারণত, উত্তর কোরিয়া বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সীমিত রাখে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণে এই ম্যারাথন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার প্রায় ২০০ জন পর্যটক পিয়ংইয়ংয়ে এসেছেন। বেইজিং-ভিত্তিক ভ্রমণ সংস্থা কোরিও ট্যুরসের জেনারেল ম্যানেজার সাইমন ককরেল তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শহরের দৃশ্য এবং প্রশিক্ষণ এলাকার ছবি পোস্ট করেছেন। কোরিও ট্যুরস এই ম্যারাথনের সহযোগী হিসেবে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধনে সহায়তা করছে।
২০২০ সালে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের শুরুতে উত্তর কোরিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০২৩ সাল থেকে ধীরে ধীরে তারা বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করে। যদিও এখনও সাধারণ পর্যটকদের জন্য রাজধানী পিয়ংইয়ং উন্মুক্ত নয়, তবে কিছু রুশ পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতাটি মূলত পিয়ংইয়ং শহরের কেন্দ্র দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। দৌড়বিদরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো অতিক্রম করেন এবং শহরের বাইরের কিছু অংশেও যান। সবশেষে প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে তারা স্টেডিয়ামে ফিনিশিং লাইন অতিক্রম করেন। প্রতি বছর ১৫ই এপ্রিল উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান নেতা কিম জং উনের দাদা, কিম ইল-sung-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়।
এই ম্যারাথন উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি তাদের সীমান্ত খোলার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন