গিনো অরিমা, একজন কিংবদন্তি। যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ বাস্কেটবলের ইতিহাসে উজ্জ্বল এক নক্ষত্র। তিনি ১২তম বারের মতো ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে আবারও প্রমাণ করেছেন, কেন তিনি এই খেলার ইতিহাসে সেরাদের একজন।
টাম্পা, ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত হওয়া এই খেলায় তার দল, ইউকন হাস্কিস, জয়লাভ করে।
৭১ বছর বয়সী অরিমা যেন বয়সের বাঁধ ভেঙে দিয়েছেন। মাঠের তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার উৎসাহ আর উদ্দীপনা এখনো আগের মতোই।
বাস্কেটবল কোর্টে তার কৌশল এবং খেলোয়াড়দের গাইড করার ক্ষমতা সত্যিই ঈর্ষণীয়। তিনি শুধু একজন কোচ নন, বরং খেলোয়াড়দের কাছে একজন পথপ্রদর্শকও বটে।
এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে তার দীর্ঘ ৪০ বছরের কঠোর পরিশ্রম। ১৯৮৫ সালে তিনি ইউকন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং দলটিকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেন।
তার অধীনে, ইউকন হাস্কিস দল বহুবার ফাইনাল ফোরে খেলেছে এবং ২৯ বার কনফারেন্স টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
অরিমা শুধু ট্রফি জেতার কারিগর নন, তিনি তৈরি করেছেন অনেক তারকা খেলোয়াড়ও। ব্রিয়ানা স্টুয়ার্ট, ডায়ানা Taurasi, সু বার্ড এবং মায়া মুর-এর মতো খ্যাতিমান খেলোয়াড়দের তিনি তৈরি করেছেন।
এই খেলোয়াড়রা এখন বিশ্বজুড়ে বাস্কেটবল বিশ্বে সুপরিচিত। খেলোয়াড়দের সাফল্যের পেছনে কোচের অবদান অনস্বীকার্য।
অরিমা তরুণ খেলোয়াড়দের সবসময় ভালোবেসেছেন এবং তাদের খেলাকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করেছেন। সম্প্রতি অবসর নেওয়া তারকা খেলোয়াড় পেইজ বুয়েকার্সও অরিমাকে নিয়ে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বোস্টন সেল্টিক্সের কোচ জো মাজুলাও অরিমাকে একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন। তিনি অরিমাকে ফুটবল কোচ পেপ গার্দিওলার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
মাজুলার মতে, অরিমা কৌশলগতভাবে যেমন ভালো, তেমনই খেলোয়াড়দের পরিচালনা করার ক্ষেত্রেও তার জুড়ি নেই। তার মতে, অরিমা তরুণ খেলোয়াড়দের কীভাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হয়, তা খুব ভালো জানেন।
অরিমা প্রমাণ করেছেন, বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। খেলাধুলা এবং কোচিংয়ের প্রতি তার আবেগ আজও একইরকম আছে।
তিনি বাস্কেটবলকে ভালোবাসেন এবং তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে এই ভালোবাসার বীজ বপন করেন। তার এই ধারাবাহিক সাফল্য শুধু ইউকন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, বাস্কেটবল খেলার জন্যও একটি বিশাল অর্জন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস