রাতের পোশাক এখন দিনের ফ্যাশন? এম&এস-এর নতুন পায়জামার চমক!

শিরোনাম: আরাম এবং আভিজাত্যের যুগলবন্দী: এমএন্ডএস-এর নতুন আরামদায়ক পায়জামার ফ্যাশন

ফ্যাশন সবসময়ই নতুনত্বের পথে হাঁটে, আর সেই পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে পোশাকেও।

আরামকে প্রাধান্য দিয়ে এখন পোশাকের জগতে যুক্ত হয়েছে নতুন এক ধারা – পায়জামা এখন শুধু ঘুমের পোশাক নয়, বরং দিনের বেলাতেও স্টাইল স্টেটমেন্ট। সম্প্রতি, ব্রিটিশ খুচরা বিক্রেতা মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার (এমএন্ডএস) এই ধারণাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে এসেছে।

তারা ফ্যাশন ডিজাইনার ওলিভিয়া ভন হালের সঙ্গে মিলে বাজারে এনেছে আরামদায়ক সিল্কের পায়জামার সাশ্রয়ী সংস্করণ।

সাধারণত, নামী ডিজাইনার ওলিভিয়া ভন হালের ডিজাইন করা সিল্কের পায়জামার দাম শুরু হয় প্রায় ৬০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮১ হাজার টাকা)। সেখানে, এমএন্ডএস-এর সঙ্গে তাঁর এই নতুন সংগ্রহে, একই ধরনের আরামদায়ক পায়জামা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫৫ পাউন্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭,৪০০ টাকা)।

নিঃসন্দেহে, এটি ফ্যাশন সচেতন মানুষের জন্য একটি দারুণ খবর, যেখানে আভিজাত্য এবং সাশ্রয়িতা দুটোই বিদ্যমান।

এমএন্ডএস-এর এই নতুন সংগ্রহে পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের ডিজাইন ও প্রিন্টের পায়জামা।

রাতের পোশাক হিসেবে পরিচিত এই পায়জামার কাপড়ের গুণগত মানও বেশ উন্নত।

ভন হালের ডিজাইন করা আসল পায়জামার মতোই, এমএন্ডএস-এর পায়জামাতেও ব্যবহার করা হয়েছে ভিসকোস-এর মিশ্রণ।

এই কাপড়ের মসৃণতা ও আরামদায়ক অনুভূতি গ্রাহকদের মন জয় করবে।

এই পায়জামাগুলো শুধু আরামদায়কই নয়, ফ্যাশন সচেতন মানুষের কাছে এটি এখন স্টাইল স্টেটমেন্টও বটে।

হলিউড থেকে শুরু করে ফ্যাশন দুনিয়ায়, আরামদায়ক পোশাকের চাহিদা বাড়ছে।

জেনিফার লোপেজ, কেট মসের মতো তারকারা প্রায়ই এই ধরনের পোশাক পরেন।

এই পোশাকের ধারণা মূলত পশ্চিমা সংস্কৃতি থেকে এসেছে, যেখানে আরামকে গুরুত্ব দিয়ে ফ্যাশনকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে।

ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আরামদায়ক পোশাকের এই ধারা ভবিষ্যতে আরও জনপ্রিয় হবে।

এমএন্ডএস-এর এই উদ্যোগ সেই ধারণাকেই সমর্থন করে।

প্রশ্ন হলো, এই পশ্চিমা ফ্যাশন কি বাংলাদেশের মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা পাবে? হয়তো, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, আমরাও দেখব, রাতের পোশাকের এই নতুন সংস্করণ, দিনের ফ্যাশনে জায়গা করে নিচ্ছে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *