শেয়ার বাজারে বড় দরপতন, আতঙ্কে হংকং। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে হংকংয়ের শেয়ার বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে।
সোমবার (তারিখ উল্লেখ করতে হবে) দেশটির প্রধান শেয়ার বাজার সূচক, হ্যাং সেং ইনডেক্স, ১৩ শতাংশের বেশি কমে যায়। ১৯৯৭ সালের এশীয় আর্থিক সংকটের পর এটিই হংকংয়ের শেয়ার বাজারের সবচেয়ে বড় পতন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর থেকেই মূলত এই দরপতন শুরু হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই দুই দেশের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, যার ফলস্বরূপ শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হংকংয়ের শেয়ার বাজারের এই পরিস্থিতি চীনের অর্থনীতির উপর ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব সম্পর্কে ধারণা দেয়। কারণ, চীনের মূল ভূখণ্ডে শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে, যা হংকংয়ে নেই।
ফলে, হংকংয়ের বাজার পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে আরও ভালোভাবে প্রতিফলিত করে।
শুধু হংকং নয়, এশিয়ার অন্যান্য শেয়ার বাজারেও দরপতন হয়েছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরের শেয়ার বাজারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণার পর থেকে শেয়ার বাজারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ কমে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে বেশ কিছু পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করা শুরু করেছে এবং আগামী বুধবার থেকে (তারিখ উল্লেখ করতে হবে) আরও বেশি হারে শুল্ক আরোপ করার কথা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারেও বড় ধরনের দরপতনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিট পুনরায় চালু হলে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়। এই ধরনের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে এর কিছু প্রভাব দেখা যেতে পারে। তাই, দেশের অর্থনীতিবিদরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা।