যেন জাদু! ‘দ্য রেবেল’ সিনেমা: কেন এটি মন ভালো করার চাবিকাঠি?

# “দ্য রেবেল”: এক কমেডি যা আজও হাসায়

ষাটের দশকের শুরুতে মুক্তি পাওয়া ব্রিটিশ কমেডি চলচ্চিত্র ‘দ্য রেবেল’ (The Rebel), যা আমেরিকায় ‘কল মি জিনিয়াস’ নামে পরিচিত, আজও দর্শকদের মনে আনন্দের ঢেউ তোলে। টনি হ্যানকক অভিনীত এই ছবিতে একজন সাধারণ কেরানির শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন এবং সেই স্বপ্ন পূরণের হাস্যকর চেষ্টা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবিটি শুধু হাসির খোরাকই জোগায় না, বরং সমাজের কিছু অসঙ্গতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে।

ছবিটির মূল গল্প হলো, একজন সাধারণ কর্মচারী, যিনি নিজের শিল্পীসত্ত্বাকে খুঁজে পান এবং প্যারিসে গিয়ে নাম করেন। ওয়াল্টার মিতির মতো, নিজের কল্পনাবিলাসী জগতে বাস করা এই মানুষটি, বাস্তবে কতটা হাস্যকর, তাই নিয়ে এই ছবির ব্যঙ্গ। ছবির পরিচালক ছিলেন রবার্ট প্যারিশ এবং চিত্রনাট্য রচনা করেছেন গেলটন এবং সিম্পসন। ছবিতে হ্যানককের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নানেট নিউম্যান, অলিভার রিড, জর্জ স্যান্ডার্স এবং লিজ ফ্র্যাজার-এর মতো খ্যাতিমান অভিনেতারা।

ছবিতে হাস্যরসের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের কৌশল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, হ্যানককের নির্বুদ্ধিতা, সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষের প্রতি ব্যঙ্গ এবং শিল্পকলার নামে চলা ভণ্ডামি। প্যারিসের আর্ট গ্যালারিতে হ্যানককের ছবি প্রদর্শনী এবং সেখানে তার খ্যাতি লাভের ঘটনাগুলো অত্যন্ত মজাদার। ছবিতে হ্যানককের ‘ইনফ্যান্টাইল স্কুল’ ধরনের ছবি আঁকা নিয়ে সমালোচকদের মন্তব্যগুলোও বেশ উপভোগ্য।

‘দ্য রেবেল’ ছবিটি শুধু একটি কমেডি নয়, বরং একটি বিশেষ সময়ের প্রতিচ্ছবিও বটে। ১৯৬০-এর দশকের ব্রিটেনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট এই ছবিতে দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেই সময়ের ফ্যাশন, জীবনযাত্রা এবং মানুষের মানসিকতা ছবিটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যারা পুরনো দিনের সিনেমা ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই ছবি অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে আসে।

যদি আপনি হালকা মেজাজে কিছু উপভোগ করতে চান, তাহলে ‘দ্য রেবেল’ হতে পারে আপনার জন্য একটি দারুণ পছন্দ। হয়তো এই ছবি আপনাকে হাসাবে, আবার হয়তো সমাজের কিছু দিক নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *