নতুন গেমারদের জন্য সুখবর! শীঘ্রই বাজারে আসছে নিনটেন্ডো সুইচ ২, যা গেম খেলার অভিজ্ঞতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই নতুন কনসোলটি কেমন হবে, দাম কত, আর এর বিশেষত্বগুলোই বা কি, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
নিনটেন্ডো তাদের আগের সংস্করণ সুইচ এর সাফল্যের ধারা বজায় রেখেই নতুন এই গেমিং কনসোল তৈরি করেছে। জানা গেছে, সুইচ ২ এর দাম হতে চলেছে $450, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসাব করলে প্রায় অনেক টাকা। তবে, বাজারে আসার পরে শুল্ক এবং অন্যান্য কারণে দামের পরিবর্তন হতে পারে।
২০১৬ সালে বাজারে আসা সুইচ এর মূল আকর্ষণ ছিল এটি একই সাথে হোম কনসোল এবং পোর্টেবল গেমিং ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নতুন সংস্করণেও সেই ধারণাটিকে আরও উন্নত করা হয়েছে।
সুইচ ২ এর হার্ডওয়্যারে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। উন্নত প্রসেসিং ক্ষমতা, বড় স্ক্রিন এবং উন্নত কুলিং সিস্টেমের কারণে গেম খেলার অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ হবে। এছাড়াও, 4K রেজোলিউশন সাপোর্ট এবং নতুন ধরনের জয়-কন কন্ট্রোলার ব্যবহারের সুবিধা থাকছে, যা গেমারদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
তবে, শুধু হার্ডওয়্যারই নয়, নিনটেন্ডো তাদের গেমের সম্ভারকেও আরও সমৃদ্ধ করতে চাইছে। নতুন সুইচে জনপ্রিয় থার্ড-পার্টি গেম যেমন ‘ইডেন রিং’ এবং ‘সাইবারপাঙ্ক ২০৭৭’ খেলার সুযোগ থাকবে। এর ফলে, গেমারদের জন্য একটি বিশাল গেম লাইব্রেরি তৈরি হবে, যা তাদের গেমিংয়ের অভিজ্ঞতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
বর্তমানে গেমিং বাজারে ভাল্ভ-এর ‘Steam Deck’ এর মতো পোর্টেবল গেমিং ডিভাইসের চাহিদা বাড়ছে। সনি প্লেস্টেশন পোর্টাল এবং মাইক্রোসফটের মতো বড় কোম্পানিগুলোও গেমিংয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চাইছে। এমন পরিস্থিতিতে, নিনটেন্ডো সুইচ ২ এর জন্য বাজারে টিকে থাকাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে।
নিনটেন্ডো কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, তারা তাদের পুরনো এবং নতুন গেমারদের কথা মাথায় রেখে গেম তৈরি করছে। তাদের লক্ষ্য হল, আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে গেমিংয়ের প্রতি আকৃষ্ট করা।
তবে, কনসোলটির প্রি-অর্ডার এখনো শুরু হয়নি। বাণিজ্য শুল্ক এবং বাজারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে, কোম্পানিটি তাদের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
বাংলাদেশে গেমিং কনসোল এবং গেমের বাজার ধীরে ধীরে বাড়ছে। নিনটেন্ডো সুইচ ২ এর আগমন নিঃসন্দেহে এই বাজারে নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি করবে। যদিও এর দাম বেশি, তবে উন্নত প্রযুক্তি এবং গেমের বিশাল সংগ্রহ এটিকে গেমারদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলবে।
দেখা যাক, নতুন এই গেমিং কনসোলটি বাংলাদেশের বাজারে কতটা সাড়া ফেলতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন