ঐতিহাসিক! কলেজ খেলায় আসছে বিশাল পরিবর্তন, ক্রীড়া জগৎে ঝড়!

শিরোনাম: মার্কিন কলেজ ক্রীড়া: ২.৮ বিলিয়ন ডলারের মীমাংসার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের জীবনে বড় পরিবর্তন।

যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ পর্যায়ের খেলাধুলায় খেলোয়াড়দের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে। ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন (NCAA)-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মামলার নিষ্পত্তির জন্য ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বিশাল অঙ্কের মীমাংসা হতে যাচ্ছে, যা খেলোয়াড়দের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

দীর্ঘদিন ধরে খেলোয়াড়দের নাম, ছবি এবং পরিচিতি (Name, Image, and Likeness – NIL) ব্যবহারের অধিকার নিয়ে বিতর্ক চলছিল। এই মীমাংসার ফলে খেলোয়াড়রা তাদের ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবেন। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের খেলোয়াড়দের সরাসরি অর্থ দিতে পারবে, যা আগে সম্ভব ছিল না।

এই মীমাংসা অনুযায়ী, শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মিডিয়া স্বত্ব, টিকিট বিক্রি এবং স্পনসরশিপ থেকে পাওয়া অর্থের ২২ শতাংশ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের সরাসরি দিতে পারবে। এর ফলে, প্রতিটি খেলোয়াড় বছরে প্রায় ২ কোটি ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। তবে, খেলোয়াড়রা বাইরের বিভিন্ন উৎস থেকেও NIL চুক্তির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবে।

এই চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি বিশেষ সূত্র ব্যবহার করা হবে, যেখানে ফুটবল এবং বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

এই পরিবর্তনের ফলে খেলোয়াড়দের স্কলারশিপের ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন আসবে। এখন থেকে প্রত্যেক খেলোয়াড় স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্য হবেন, তবে দলের সদস্য সংখ্যা সীমিত করা হবে।

এই মীমাংসা কলেজ ক্রীড়া জগতে একদিকে যেমন খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ নিয়ে এসেছে, তেমনি কিছু উদ্বেগের কারণও সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে ছোটখাটো খেলাধুলার প্রোগ্রামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া, ‘পে-ফর-প্লে’ বা খেলার বিনিময়ে অর্থ প্রদানের মতো বিষয়গুলোও উৎসাহিত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মীমাংসা কলেজ ক্রীড়া জগতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। খেলোয়াড়দের আর্থিক সুরক্ষার পাশাপাশি খেলার মান উন্নয়নেও এটি সহায়তা করবে। তবে, এর সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন সঠিক নিয়ম-কানুন তৈরি এবং তার যথাযথ প্রয়োগ।

তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *