যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করতে খুব শীঘ্রই ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই সাক্ষাৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ইতিমধ্যেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে, কারণ ক্ষমতা হারানোর পরে কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের এটিই প্রথম বৈঠক হতে যাচ্ছে।
খবর অনুযায়ী, বৈঠকটিতে বাণিজ্য, বিশেষ করে ইসরায়েলের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়টি প্রধান্য পেতে পারে। এছাড়াও গাজা যুদ্ধ, ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা, তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কর্তৃক নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে।
জানা গেছে, ট্রাম্প এই শুল্ককে নেতানিয়াহুর কাছ থেকে কিছু সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি, অন্তত হামাসের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তীকালীন যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে নেতানিয়াহুকে চাপ দিতে পারেন।
এর মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তি এবং সংঘাতের অবসান ঘটানো যেতে পারে। এছাড়াও, ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে, যা ইরানের বিরুদ্ধে একটি আঞ্চলিক কূটনৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
বৈঠকের আগে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেয়। তবে এরপরেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের পণ্যের উপর ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রাম্প সম্ভবত ইসরায়েলকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাইছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা এবং ইসরায়েল-সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর বাংলাদেশের মতো দেশগুলোরও অনেক কিছু নির্ভর করে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস