ইংল্যান্ড মহিলা ফুটবল দল, যারা ‘দ্য লায়নেস’ নামে পরিচিত, তাদের কোচ সারিনা উইগম্যান আসন্ন ম্যাচে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ভালো ফল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। গত বছর, ২০২৩ সালের অক্টোবরে, এই দল বেলজিয়ামের কাছে ৩-২ গোলে পরাজিত হয়েছিল।
সেই হারের ফলে অলিম্পিক গেমসে খেলার যোগ্যতা অর্জনেও তারা পিছিয়ে পড়েছিল।
আসন্ন ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেলজিয়ামের মাঠেই, যেখানে অতীতে ইংল্যান্ডকে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
উইগম্যান মনে করেন, এই ম্যাচটি তাদের জন্য নিজেদের প্রমাণ করার একটি সুযোগ। তিনি বলেন, “আমরা নিজেদের উপর প্রতিশোধ নিতে চাই।
আমরা দেখাতে চাই যে আমরা আগের চেয়ে অনেক ভালো দল।”
তবে দলের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এই ম্যাচে খেলতে পারছেন না। ইনজুরির কারণে দলের বাইরে রয়েছেন অ্যালেসিয়া রুসো, ক্লোয়ে কেলি এবং লরেন জেমস।
তাদের অনুপস্থিতি দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা। তবে কোচ উইগম্যান তরুণ খেলোয়াড়দের উপর আস্থা রাখছেন।
দলের আক্রমণভাগকে শক্তিশালী করতে ১৯ বছর বয়সী মিশেল আজেমাং এবং টটেনহ্যামের উইঙ্গার জেসিকা নাজকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ডিফেন্ডার নিয়া চার্লস, আজেমাংয়ের খেলার গতি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আজেমাংয়ের গতি এতটাই বেশি যে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা এক মুহূর্তের জন্যও মনোযোগ হারাতে পারবে না।”
এছাড়াও, অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অ্যালেক্স গ্রিনউড, জর্জিয়া স্ট্যানওয়ে এবং লরেন হ্যাম্পও ইনজুরির কারণে দলের বাইরে রয়েছেন।
তবে কোচ উইগম্যান আশা করছেন, তারা খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে দলে ফিরবেন।
উইগম্যান মনে করেন, বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে তাদের ভালো খেলতে হলে সব দিক থেকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, “প্রতিপক্ষ দল শক্তিশালী এবং তারা তাদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করবে।
আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং আমাদের খেলার মান উন্নত করতে হবে।”
বর্তমানে, ইংল্যান্ড দল তাদের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই টুর্নামেন্টটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান