চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের মুখোমুখি হওয়ার আগে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে চিন্তার ভাঁজ। তাদের উদ্বেগের মূল কারণ হচ্ছে আর্সেনালের সেট পিস-এর দক্ষতা।
দলের গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া নিজেই এই কথা স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার, অর্থাৎ ম্যাচের প্রথম লেগে এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনালের বিরুদ্ধে নামার আগে রিয়াল মাদ্রিদ দল তাদের প্রস্তুতি প্রায় সেরে ফেলেছে। লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ২-১ গোলে হারের পর তারা কিছুটা চাপে রয়েছে।
সেই ম্যাচে রক্ষণ দুর্বলতার কারণে তারা কর্নার থেকে গোল হজম করে, যা তাদের চলতি মরসুমে দশম গোল ছিল। যদিও কোচ কার্লো আনচেলত্তি এই ম্যাচে চোট সারিয়ে ফেরা থিবো কর্তোয়া এবং ডেভিড আলাবাকে নিয়ে দল সাজাবেন।
আর্সেনাল গত মরসুমের শুরু থেকে সেট পিস থেকে ৩০টি গোল করে ইউরোপ জুড়ে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। প্রাক্তন চেলসি গোলরক্ষক কর্তোয়া জানেন, এই ম্যাচে তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।
কর্তোয়া জানিয়েছেন, “আমরা এই নিয়ে কাজ করেছি। আমরা জানি কীভাবে তাদের বিরুদ্ধে রক্ষণ তৈরি করতে হবে। প্রথমত, বেশি কর্নার দেওয়া চলবে না। এটা একাগ্রতা এবং মনোনিবেশের বিষয়।
প্রতিপক্ষের ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন খেলোয়াড় থাকলে, বল ভালোভাবে আসলে তা প্রতিহত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে আমরা প্রস্তুত। আমাদের বিশ্বাস, আমরা যা তৈরি করেছি, তা ভালো ফল দেবে।”
আর্সেনালের মিডফিল্ডার মার্টিন ওডেগার্ড মনে করেন, নক-আউট পর্বে সেট পিস থেকে প্রায় ৩৩ শতাংশ গোল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তাদের জন্য যেমন এটা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই রিয়ালের কাছেও এটি চিন্তার কারণ।
কারণ ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে তারা সেট পিস থেকেই গোল হজম করেছিল।
অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি, যিনি ম্যানেজার হিসাবে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন, ঘরোয়া লিগে এখনো পর্যন্ত টানা দু’বার খেতাব জেতেননি। তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েও জল্পনা চলছে।
ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হারের পর তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান, তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ক্লাবের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। তিনি আরও বলেন, তিনি চান এই মরসুমে দল আরও একবার ট্রফি জিতুক।
আনচেলত্তি বলেন, “আমার মনে হয় অনেকে হয়তো রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে আমাকে দেখে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন। তবে ক্লাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এখনও ক্লান্ত হননি।
যদি আমি বিশ্বাস না করি যে রিয়াল মাদ্রিদ বাকি সব ট্রফি জিততে পারে, তাহলে আমি এখানে থাকতাম না। আমি ছুটি কাটানোর কথা ভাবতাম। আমরা শেষ পর্যন্ত সব ট্রফির জন্য লড়াই করতে এখানে এসেছি।”
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান