গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হয়ে যুদ্ধ, ১০ ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ!

গাজায় ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধ করা ১০ ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার আইনজীবীরা। সম্প্রতি লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

এই অভিযোগপত্রে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে ওই ব্রিটিশ নাগরিকদের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রটি তৈরি করেছেন মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল ম্যানসফিল্ড এবং হেগের অন্যান্য আইনজীবীরা। এতে ফিলিস্তিনের মানবাধিকার সংস্থা ‘প্যালেস্টাইন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’ (PCHR) এবং যুক্তরাজ্যের ‘পাবলিক ইন্টারেস্ট ল’ সেন্টার’ (PILC)-এর পক্ষে মামলাটি করা হয়েছে।

খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্রিটিশ নাগরিকরা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করেছেন।

অভিযোগপত্রে গণহত্যার পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিক, ত্রাণকর্মী ও ঐতিহাসিক স্থাপনার ওপর ইচ্ছাকৃত হামলার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

এছাড়া, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগপত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি বিবৃতিতে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় স্বজনদের মৃত্যুর পর তিনি মর্মাহত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, “আমি যা দেখেছি, তা সহ্য করতে পারিনি। মৃতদেহগুলো একে অপরের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।”

অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে গিয়ে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া প্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান সংগ্রহ করেছেন।

তাঁদের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট শক্ত প্রমাণ রয়েছে। তবে, আইনি কারণে এই অভিযোগপত্রের বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

আইনজীবীরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুক্তরাজ্য সরকারের উচিত, এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করা এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনা।

ম্যানসফিল্ড সাংবাদিকদের বলেন, অনেক দেশ ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাঁর মতে, এই কারণেই মানবাধিকার সংস্থাগুলো সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে নারী ও শিশুসহ ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

শুধু গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান জোরদার হওয়ার পর ১৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *