ট্রাম্পের বিস্ফোরক ঘোষণা: ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা!

ট্রাম্পের দাবি, ইরানের সঙ্গে সরাসরি পরমাণু আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনা শুরু হয়েছে। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার আগে তেহরান সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করছি, এবং আলোচনা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। শনিবার একটি বড় বৈঠক হবে এবং আমরা দেখব কি হতে পারে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমার মনে হয়, একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সকলের জন্যই ভালো।”

তবে তিনি আলোচনার বিস্তারিত কিছু জানাননি।

একইসাথে, ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে তেহরান ‘বিরাট বিপদের’ সম্মুখীন হবে। তিনি আরও যোগ করেন, ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির কোনো সুযোগ নেই।

অন্যদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনাকে ‘অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন।

গত মাসে ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনাইকে একটি চিঠি লিখেছিলেন এবং দুই দেশের মধ্যে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। যদিও তেহরান এখন পর্যন্ত ওয়াশিংটনের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, তবে তারা পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

২০১৮ সালে, ক্ষমতায় থাকাকালীন ট্রাম্প ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে ইরানের উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, যার বিনিময়ে দেশটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ছিল।

ইরান বরাবরই বলে আসছে যে তাদের পরমাণু কার্যক্রম শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের কাছেও পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়, যদিও তারা বিষয়টি স্বীকার করে না।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *