**ডলার বাজারের অস্থিরতা: ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকট**
ঢাকা, [আজকের তারিখ] – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি, বিশেষ করে চীনের উপর আরোপিত শুল্কের কারণে বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজারে দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা। গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহে, বিনিয়োগকারীরা যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এমনকি, একটি গুজবকে কেন্দ্র করে বাজারে ক্ষণিকের জন্য স্বস্তি ফিরলেও, তা ছিল খুবই ক্ষণস্থায়ী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক নীতি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। গত সপ্তাহে শুল্কের ঘোষণা আসার পর, বিশ্বের প্রধান শেয়ার বাজারগুলোতে বড় ধরনের দরপতন হয়।
বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি হারানোর আশঙ্কায় ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর জন্য সবাই মুখিয়ে ছিলেন।
এই সময়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে পারে। ফলস্বরূপ, শেয়ার বাজারে দ্রুত উত্থান দেখা যায়।
কয়েক মিনিটের মধ্যেই সূচকগুলো উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে শুরু করে। তবে, দ্রুতই এই গুজবের সত্যতা না পাওয়ায়, বাজার আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
এই ঘটনার মাধ্যমে, বিশেষজ্ঞরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। তাদের মতে, বিনিয়োগকারীরা এখন এমন একটি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন, যা বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে।
তারা মনে করেন, শুল্কের বিষয়ে কোনো ধরনের নমনীয়তা দেখালে, কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ শৃঙ্খল পুনর্বিন্যাস করার সুযোগ পাবে, যা বাজারের জন্য ইতিবাচক হবে। এমনকি, আলোচনা শুরুর সামান্য ইঙ্গিতও ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
তবে, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে শুল্ক নীতি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি। একদিকে, সরকারি কর্মকর্তারা শুল্ক আরোপের পক্ষে কথা বলছেন, অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
এই দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্টের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া উচিত। তাদের মতে, শেয়ারের দাম কমলেও, এখনই বিনিয়োগ করা উচিত হবে না।
কারণ, এতে বাণিজ্য যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
অর্থনীতিবিদ এড ইয়ার্ডেনি বলেন, “আমাদের বাজারকে এই প্রশাসনের উপর চাপ বজায় রাখতে পতন হতে দিতে হবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে, হোয়াইট হাউসকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে, এই অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদে বিশ্ব অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তন না আনা হলে, আগামী দিনগুলোতে বাজারের আরও খারাপ অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন