দক্ষিণ কোরিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘোষণা, ইয়ুন-এর অভিশংসনের পর
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে অস্থিরতা। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়েলকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর আগামী ৩ জুন নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু এই ঘোষণা দেন এবং নির্বাচনের সুবিধার্থে ওই দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরের শুরুতে বিতর্কিত সামরিক আইন জারির কারণে ইয়ুনের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়। এর ফলশ্রুতিতে সাংবিধানিক আদালত তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
ইয়ুন সুক-ইয়েল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি তার সাংবিধানিক দায়িত্ব লঙ্ঘন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘোষণা আসায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
নির্বাচনের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক এবং এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির শ্লথগতির মতো বিষয়গুলো।
বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জে-মিয়ং নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। যদিও তিনি এর আগে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শ্রমমন্ত্রী কিম মুন-সুর নাম শোনা যাচ্ছে।
বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, লি জে-মিয়ং-এর প্রতি জনসমর্থন সবচেয়ে বেশি।
একটি গ্যালাপ পোল অনুসারে, ৩৪ শতাংশ ভোটার লি-কে সমর্থন করেন।
এছাড়া, কিম মুন-সু ৯ শতাংশ, প্রাক্তন শাসক দলের নেতা হান ডং-হুন ৫ শতাংশ, ডেগু মেয়র হং জুন-প্যো ৪ শতাংশ এবং সিউল মেয়র ওহ সে-হুন ২ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার এই রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশটির প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন রাজনৈতিক ঘটনা বিশ্লেষণ করলে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
তথ্য সূত্র: The Guardian