হ্যারি’র আকুল আবেদন: নিরাপত্তা হারানোর পর ফের আদালতে

ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি, যিনি ডিউক অফ সাসেক্স উপাধিতে পরিচিত, যুক্তরাজ্যে তার নিরাপত্তা বিষয়ক সরকারি সহায়তা পুনরায় বহাল করার জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ২০২০ সালে রাজ পরিবারের সক্রিয় সদস্যের পদ থেকে সরে এসে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করার পর থেকে এই সরকারি নিরাপত্তা সুবিধা হারান।

বর্তমানে তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন এবং লন্ডনের একটি আদালতে তার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান, ডাচেস অফ সাসেক্স প্রায়শই গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতি বিরূপ মন্তব্যের শিকার হন। হ্যারির মতে, যুক্তরাজ্যে গেলে তাদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

তার আশঙ্কা, জনসাধারণের মধ্যে বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাবের কারণে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তা তাদের জন্য অপরিহার্য।

হ্যারি বর্তমানে তার বাবার ছেলে এবং রাজা তৃতীয় চার্লসের পুত্র। রাজপরিবারের প্রথা ভেঙে তিনি এর আগে ব্রিটিশ সরকার এবং সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছেন।

এর আগে, তিনি যুক্তরাজ্যে ব্যক্তিগতভাবে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবহারের জন্য অর্থ পরিশোধের অনুমতি চেয়েছিলেন, তবে আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে। আদালত জানিয়েছিল, সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।

প্রিন্স হ্যারি ডেইলি মেইল পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। পত্রিকাটি একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে, তিনি সরকারি নিরাপত্তা সুবিধা অব্যাহত রাখতে চেয়েছিলেন।

তবে, ২০১৮ সালে ডেইলি মিরর পত্রিকার বিরুদ্ধে ফোন হ্যাক করার অভিযোগে করা একটি মামলায় তিনি জয়লাভ করেন। আদালত এই পত্রিকার বিরুদ্ধে ফোন হ্যাকিংয়ের অভিযোগকে “ব্যাপক ও নিয়মিত” হিসেবে চিহ্নিত করে।

এছাড়া, তিনি রুপার্ট মার্ডকের মালিকানাধীন ইউকে-র কয়েকটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার বিরুদ্ধেও মামলা করেন, যেখানে পত্রিকাটি তার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপের জন্য ক্ষমা চেয়েছিল এবং ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছিল।

বর্তমানে তিনি একই ধরনের একটি মামলা করছেন ডেইলি মেইল পত্রিকার বিরুদ্ধে।

এই মামলাগুলো প্রিন্স হ্যারির নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত উদ্বেগের একটি অংশ। তিনি মনে করেন, জনসাধারণের মাঝে তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

আগামী শুনানিতে আদালত কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই এখন সকলের দৃষ্টি।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *